বই, মোবাইল, জামা, ল্যাপটপ কত কিছু বহন করার ব্যাগই তো বাজারে এলো। কিন্তু সমুচা বহন করার ব্যাগ আসবে তা হয়তো কেউ কোন দিন কল্পনাও করতে পারেনি৷ কল্পনা করতে না পারলেও বাজারে তা চলে এসেছে৷ সমুচা শেপের এই ব্যাগটির একটি ছবি সম্প্রতি ফেসবুকে খুঁজে পাওয়া যায়।
ব্যাগটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলেন আমাদের একজন সাঙবাদিক। অসম্ভব সমুচাপ্রিয় সমুচা ব্যাগের রূপকার সেই ব্যক্তির নাম 'সমুচা সুমন'। সমুচা সুমনের দর্শন ছিলো, সমুচাকে তার প্রাপ্য সম্মান ফিরিয়ে দেয়া৷ অনেকেই কাগজে মুড়িয়ে নরমাল ব্যাগে যত্রতত্র বই, মোবাইল কিংবা ল্যাপটপের সাথে সমুচার মত এক মহাজাগতিক খাবারকে রাখেন ও বহন করেন, এই ব্যাপারটিই একেবারে সহ্য করতে পারেননি সুমন৷ তাই দীর্ঘদিন পরিশ্রম করে সমুচার প্রতি তার এই ট্রিবিউট৷
সুমন বলেন, 'সমুচা তো আর সবার মত না! আপনি চাইলেই তাকে সবার সাথে মিলিয়ে ফেলতে পারবেন না৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বীকৃতি পাওয়া এই খাবার নিশ্চয়ই আলাদা সম্মান ডিজার্ভ করে। সমুচা তো মেসি-রোনালদো না যে আপনি ফাউল করে ঠেকায় দিবেন। সমুচা হচ্ছে অটোমান প্রিন্স মুস্তাফা, ভাঙবে কিন্তু মচকাবে না। সমুচা হচ্ছে ইলুমিনাতি। তাকে তার সম্মান দিতে হবে৷'
এই সমুচার ব্যাগে আর কোন জিনিস রাখা যাবে কিনা, আমাদের এমন প্রশ্ন প্রথমে কিছুটা ক্ষেপে গেলেও নিজেকে শান্ত করে সুমন বলেন, 'বড়জোর সিঙ্গারা রাখা যায়। সিঙ্গারার জন্যও আলাদা ব্যাগের কথা আমরা ভাবছি, সেই ব্যাগ আসার আগ পর্যন্ত হয়তো রাখা যাবে।'
তবে ঢাবি ভিসি ব্যাগটি কিনতে অলরেডি অনলাইনে বুকিং দিয়েছেন বলে একটি অত্যন্ত অনিশ্চিত সূত্র থেকে জানা যায়।