যারা ছোট মাছ খেতে চান না, তাদের জন্য বিকল্প উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক। জানা গেছে, কাঁচকি মাছ প্রক্রিয়া করে তারা তৈরি করেছেন কাঁচকি মাছের চানাচুর, কুড়কুড়ে বাদাম ও তিলের বার। নিঃসন্দেহে অসাধারণ আবিষ্কার।
তবে এই সাফল্যে দেশবাসীর মধ্যে নানান প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও আমাদের প্রিয় রন্ধনশিল্পী কেকা ফেরদৌসী যেন একটু বেশিই খুশি। তিনি eআরকিকে বিশেষ মাধ্যমে জানান, 'শুধু আমি করলেই দোষ... আর কাঁচকি মাছের চানাচুরের চেয়ে দুধ পায়েস, নুডুলস, সেমাই.. আরও মজা। ক্রিস্পি ভাবটাও থাকে, ভিটামিনও থাকে...'
আরেকটি সূত্র জানায়, এই খবর শুনে যেন নতুন করে উৎসাহ পেয়েছেন কেকা। আজ বিকাল থেকে তাঁর বাসার সামনে কয়েক ট্রাক কাঁচকি মাছ এসেছে বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। কেকা ফেরদৌসী আরও জানান, 'চানাচুর খাবেন ভালো কথা, আমার রেসিপিটাও খেয়ে দেখেন। ওদের সাথে কম্পিটিশনে নামার জন্যই এতগুলা কাঁচকি মাছ আনাইলাম। যেসব আইটেম থাকছে সেগুলো হলো...
১. কাঁচকির সেমাই এবং পায়েস
২. কাঁচকির মাছের হালুয়া
৩. কাঁচকির মাছের পুডিং
৪. কাঁচকি মাছ উইথ গরুর মাংস
৫. কাঁচকি স্পেশাল ফালুদা...'
বাকৃবির এমন উদ্ভাবনে প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনাও করেছেন কেউ কেউ। রাফিদ (১৭) নামের এক যুবক জানান, 'আগে কাঁচকি মাছ খাইতাম না। এখন চানাচুর খাওয়াও বাদ দিতে হবে... কই যে যাই...'
এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিক (২৩) নামের এক শিক্ষার্থী কেকা ফেরদৌসীকে অভিনব এক রিকোয়েস্ট করেন৷ তিনি বলেন, 'কেকা ম্যাম, কাঁচকির জয়েন্ট বানানো যায় কিনা একটু খেয়াল কইরেন ব্যাপারটা... দেশাল নিয়েন, অ্যাম্পল ভালো লাগে না...'