কবি বলেছেন, ‘জন্মিলে মরিতে হইবে, অমর কে কোথা কবে’... অর্থাৎ কবির মতে এই জগতে কেউই অমর নয়। তবে এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হতে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর এক গবেষক দল দাবি করেছেন, তারা অমরত্বের সন্ধান প্রায় পেয়েই গেছেন!
স্বাস্থ্য বিষয়ক ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণা নিবন্ধনটি বর্তমান পৃথিবীতে হৈচৈ ফেলে দিয়েছে। তাদের মতে, যারা নিয়মিত পুরি খাবার সময় টিস্যু দিয়ে চেপে পুরি থেকে তেল বের করে খায়, তাদের বার্ধক্যগ্রস্থ হবার সম্ভাবনা প্রায় শুন্যের কোটায়! এ গবেষণায় শুধুমাত্র বাংলাদেশের কয়েকটি বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়েসুসসহ সংস্থাটির কর্মকর্তারা এক ফেইক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, 'আপাতত আমরা শুধু এইটুকু বলতে চাই যে আমাদের দীর্ঘ দশ বছরের গবেষণা বিফলে যায়নি।'
এ প্রসঙ্গে দেশের একজন বুদ্ধিজীবীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, 'টিস্যু দিয়ে চেপে তেল বের করাটা আমার কাছে বিলাসিতা মনে হয়। তার চেয়ে বরং সংবাদপত্র দিয়ে কাজটা করলে বেটার হয়। আমি মনে করি এতে করে সংবাদপত্র বিলুপ্ত হয়ে যাবার সম্ভাবনা কিছুটা কমে আসবে।'
দেশের আরেক খাদ্য গবেষক ও বিজ্ঞানীর কাছে এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, 'আর অমরত্ব! আমাদের অমরত্ব পেয়েই বা কি হবে? আরে ভাই, অমরত্ব মানে এই না যে আপনি বাসের তলায় চাপা পরবেন কিন্তু মরবেন না, গুলি খাবেন কিন্তু মরবেন না, অক্সিজেন না থাকলেও মরবেন না! আসলে বিষয়টা তো আর এমন না। বিষয়টা হলো আপনি স্বাভাবিক ভাবে মরবেন না। তো এখন বলেন, এই অমরত্ব দিয়ে আমরা কী করবো? আমাদের আর স্বাভাবিক মৃত্যু কয়জনের ভাগ্যে জোটে, মৃত্যু তো আমরা পকেটে নিয়ে ঘুরি!'
বিজ্ঞানী সাহেব ডিপ্রেশনে পড়ে গেলেও তরুণদের (বিশেষ করে তরুণীদের) মাঝে এ ব্যাপারে সাড়া পড়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সাদিয়া বলেন, 'এজন্যই তো আমি টিস্যু দিয়ে তেল বের করে পুরি, চিকেন গ্রিল, কাবাব সবকিছু খেতাম। কখনো মরবো না ভেবে ভালো লাগছে। তবে সামনে কেমন লাগবে বলতে পারছি না।'
এ পর্যায়ে তিনি টিস্যু দিয়ে চেপে কাচ্চির তেল বের করতে থাকেন।
লেখা: ফয়সাল তালুকদার