ভয়ংকর রকমের কর্মব্যস্ততায় দিন কাটছে বাড়ির ছোট ছেলেদের। ছোট মেয়েরাও সমান তালে ব্যস্ত। কারণ কোরবানির ইদ এসে যাচ্ছে, ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে ডিপ ফ্রিজ খালি করার তোড়জোড়।
রাজধানীর উত্তরায় থাকেন রাহাত। সকালে বনানী গিয়ে মেঝো খালার ডিপ ফ্রিজ খালি করে দিয়ে এসেছেন। এখন হাত দিয়েছেন নিজেদের ফ্রিজে। লুঙ্গি কাছা দেয়া রাহাত ঘামতে ঘামতে eআরকিকে বলেন, 'এই সিজনটা আসলে আমাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ভালো লাগে। শীতের সময় ইদ পড়লে তখন একটু কষ্ট আরকি। সকালে খালারটা করেছি, এখন নিজেদেরটা করছি, বিকেলে আবার আপুরটা খালি করতে যাবো। আমাদের গুষ্ঠিতে আমিই একমাত্র ছোট আর বেকার কি না!'
কাজ করেও কখনো কখনো বকা শুনতে হয় তাদেরকে। ভালো লাগার কাজটি তখন কিছুটা খারাপ লাগায় পরিণত হয়। কেউ কেউ বিদ্রোহ করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলেও বেশিরভাগই মনে বেদনা নিয়ে বুকে পাথর চাপা দিয়ে নিজেদের কাজটি করে যান। রাহাতের সুরেই যদি বলি, 'এই সিজনে তো টানা ১ সপ্তাহ ব্যস্ত থাকা লাগে। এরপরও ঘরের অন্যান্যরা বেকার বলে খোঁটা দেয়। এটা ওটার ফরমায়েশ দিয়ে বলে, তুই তো বেকারই। করে দে।'
সবার কষ্ট আবার এক রকম না। ধানমন্ডির আরিফের কষ্টটা যেমন আলাদা। আরিফ জানান, 'গত ৪ বছর ধরে এই কাজে আছি। নিষ্ঠার সাথেই করি। নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা সবসময়ই থাকে। তাও মা বলে, আমার নাকি ফ্রিজ পরিষ্কার করা হয় না। নানান চিপাচাপা থেকে খুঁত বের করে দেয়। তখন কাজ টাজ ছেড়ে জঙ্গলে চলে যাইতে ইচ্ছা করে। যেখানে ফ্রিজ নেই, নেই কোন ফ্রিজ খালি করার প্যারা।'