বন্ধুত্বের সম্পর্ক আমরা ছোটবেলা থেকেই করে আসছি। প্রথমে পাড়ায়, তারপর স্কুলে, তারপর যে কখন কে বন্ধু হয়ে উঠেছে তার হিসাবও হয়তো রাখিনি। কিছু বন্ধু হারিয়ে যায় সময়ের সাথে সাথে আর কিছু বন্ধু জীবনের শেষ অবধি একসাথে লড়াই করতে শিখায়।
ফরহাদও তার স্কুল জীবনে এমন দুই বন্ধু পেয়েছে। যারা আফগানিস্তান বাংলাদেশ ম্যাচের চতুর্থ দিনে শারিরীক প্রতিবন্ধী বন্ধু ফরহাদকে পিঠে চড়িয়ে খেলা দেখতে নিয়ে এসেছে। ফরহাদ জন্মের পর থেকে আর দশটা মানুষের মতো স্বাভাবিক ভাবে হাঁটতে পারলেও, বয়স বাড়ার সাথে সাথে টাইফয়েড জ্বর কেঁড়ে নিয়েছিলো তার স্বাভাবিক জীবন।
কিন্তু, বন্ধুর শারিরীক সমস্যার কারণে খেলা দেখা আটকে থাকবে এমনটা হতে দেননি তার বন্ধু সোহানরা।
ক্রিকেট খেলার প্রতি ফরহাদের আকর্ষণ অনেক আগে থেকেই। নিজের শারিরীক সমস্যা আর বাবা মায়ের চাকরি জীবনের ব্যস্ততার জন্য কখনও স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখা হয়নি তার। তার এই অপূর্ণ ইচ্ছা পূরণ করার জন্যই বন্ধুরা খেলা দেখতে নিয়ে যান।
সোহান বলেন, ‘আমি আফসোস করি না, আমার এমন পায়ের সমস্যার জন্য। কারণ, এমন বন্ধু পেয়েছি দেখে। আমি ঘরে বসে টিভিতে খেলা দেখি, কখনও সাহস করিনি এভাবে এসে খেলা দেখার। বন্ধুরা সাহস জুগাইছে দেখেই দেখতে এসেছি।'
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন