হিজড়া শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয় তা সম্ভবত আমাদের সকলেরই জানা আছে। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের আমরা 'হিজড়া' বলে থাকি অনেকেই। তবে শব্দটির খুব সম্মানসূচক ব্যবহার আমাদের কারোরই চোখে পড়েছে এমনটা খুব জর দিয়ে বলা যায় না। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের পাশাপাশি ছেলেদের মধ্যে যারা একটু মেয়েলি আচরণ করে থাকে, তাদেরকেও অবজ্ঞা করে (নাকি গালি দিয়ে?) হিজড়া বলার প্রচলন বেশ ভালোরকমই (নাকি খারাপ রকম?) আছে।
হিজড়া শব্দটি এসেছে উর্দু থেকে। শব্দের মূল উৎপত্তিস্থল অবশ্য আরবি। ‘হিজর’ শব্দ থেকে 'হিজড়া' শব্দের উৎপত্তি, যার অর্থ দাঁড়ায়, 'লোকালয় পরিবর্তনকারী'। অর্থাৎ অনেকের মধ্যে অন্য পথে হাঁটা বা অন্য অবস্থানে চলে যাওয়া ব্যক্তিকে বলা হচ্ছে 'হিজড়া'!
আমাদের দেশে হিজড়ারা পিছিয়ে পড়া এক জনগোষ্ঠী। জোরপূর্বক চাঁদা আদায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধ্মূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছে হিজড়াদের নাম। অথচ অতীতে হিজড়া সম্প্রদায়ের সুনাম ছিলো গীত ও নৃত্যকলায় পারদর্শী হওয়ার জন্য।
ভাষা সম্পর্কে নারী এবং পুরুষদের সচেতনতার পর্যায় যাই হোক, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা কিন্তু একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে মিছিলই করেছেন গত রাতে। একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার জন্য ২০শে ফেব্রুয়ারি রাতে তারা জড়ো হন শাহবাগ প্রান্তরে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমনই একটি ছবি প্রকাশিত হয়েছে। ছবিতে দেখা যায় একজন হিজড়া মাথায় ফুলের টোপর পড়ে সেলফি তুলছেন।
মাতৃভাষার প্রতি উৎসর্গ করা এই দিনটিতে 'হিজড়া' শব্দটি সম্পর্কে একটি বাড়তি তথ্য জেনে নিতেই পারেন- হিজড়া কোনো গালি নয়!
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন