আজকে বিএনপি এবং আওয়ামীলীগ দুইপক্ষেরই পাল্টাপাল্টি মহাসমাবেশের খবর শুনেই অনেক চাকরীজীবীই আজকের দিনটা ওয়ার্ক ফ্রম হোম কিংবা ছুটি কাটানোর পরিকল্পনা করে ফেলেছিলেন। কিন্তু হুট করেই দুইপক্ষ মহাসমাবেশ একদিন পিছিয়ে নেওয়ায় আজকের দিনটি মোটামুটি শোকের দিনে পরিণত হয়েছে চাকরীজীবীদের জন্য। তেমনই এক শোকাহত চাকরীজীবী ভাইয়ের কাছ থেকে তার অনুভূতি জানার চেষ্টা করেছে আমাদেরও শোকাহত প্রতিবেদক
প্রতিবেদক: আপনাকে দেখেই বেশ বিমর্ষ লাগছে ভাই, যদিও একই কারণে আমারও মন খারাপ কিন্তু আপনার অনুভূতি যদি একটু বলতেন?
চাকরীজীবী ভাই: কী আর বলবো ভাই? মানবতা বলে কিছু আর রইলো না। মানুষ আর এখন কথা দিয়ে কথা রাখে না, আগে হরতাল ডাকলে হরতালের দিনেই হরতাল হইতো, সেই দিনগুলা যে আমাদের কই হারাইলো।
প্রতিবেদক: সহমত ভাই, তা ভাই আজকে আপনার কী কী পরিকল্পনা ছিলো?
চাকরীজীবী ভাই: ভেবেছিলাম আপনাদের ভাবিকে নিয়ে দুইদিনের জন্য একটা মিনি হানিমুনে যাবো। কথাও দিয়ে রেখেছিলাম, কিন্তু পলিটিক্যাল পার্টিগুলোর কী যে হইলো ভোটের মতো ঘোষণাও তারা মাঝরাতে দেয়। মাঝরাতে আপনাদের ভাবিকে অফিস যেতে হবে বলায় আমাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে।
প্রতিবেদক: হায় হায় বলেন কী? এখন কী অবস্থা আপনার তো অনেক লস হয়ে গেলো তাহলে।
চাকরীজীবী ভাই: আমার কোনো লাভ লস নাই, আমার লাইফটাই লস। এখন যে আপনাদের ভাবিকে কালকে ঘুরাতে নিয়ে গিয়ে একটু রাগ ভাঙাবো সেই উপায়ও নাই, শুক্রবারের দিনে মহাসমাবেশ দিয়ে রেখেছে।
প্রতিবেদক: আপনার জন্য সমবেদনা রইলো ভাই।
চাকরীজীবী ভাই: আপনার প্রতিও সমবেদনা। আমি জানি, আপনারও ওয়ার্ক ফ্রম হোম ক্যানসেল হওয়ায় ঘুরে ঘুরে সাক্ষাৎকার নিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন