বাংলাদেশের কাছ থেকে ১৯৯৪ সালে কেনা বিভিন্ন সামগ্রীর মূল্য ১১ দশমিক ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এখনও পরিশোধ করেনি উত্তর কোরিয়া। শনিবার (২৭ জুন) সংবাদমাধ্যম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে প্রকাশিত পাওনা টাকার তথ্য দেখে আমরা আর বসে থাকতে পারলাম না। দ্রুত চেয়ার থেকে উঠে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম। এদিকে দেশের স্বার্থে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের ফোন নাম্বার ম্যানেজ করে ফেললো eআরকির গোয়েন্দা সংস্থা ESF (Earki Special Force)।
রিং হতেই ফোন রিসিভ করল সুকন্ঠী কম্পিউটার। আর্টিফিশিয়াল ভয়েসে বলল, 'প্রেসিডেন্টের সাথে পারমাণবিক বোমার ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে এক চাপুন'। প্রেসিডেন্টের মুখে ট্রাম্পের উদ্দেশে গালি শুনতে চাইলে দুই চাপুন.. '। এভাবে চুরানব্বইতমবার কম্পিউটার বলল, 'পাওনা টাকার ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে চুরানব্বই চাপুন'। আমরা প্রেস করলাম নাইন-ফোর৷ ফোন ধরলেন প্রেসিডেন্ট! বিরক্তি মাখা গলায় কিম জং উন বললেন, 'তোমরা কি বাংলাদেশ থেকে ফোন করছো?'
: জ্বী স্যার, কিভাবে বুঝলেন?
: তোমাদের ধৈর্য্য দেখে। নাইন্টি ফোর চাপার জন্য কতটা ধৈর্য্য থাকা লাগে আমি বুঝি৷
: আসলে স্যার টাকা পয়সার ব্যাপার তো। কষ্ট হলেও সহ্য করেছি। টাকাটা যদি দিতেন খুব উপকার হইতো৷
: কত আগের টাকা বলো তো?
: স্যার চুরানব্বই সালের।
: এতদিন বলো নাই কেন? ওসব হিসাবকিতাব কি এখন আর মনে আছে?
: স্যার আমাদের কাছে হিসাব আছে তো! আপনার কোনোই কষ্ট করা লাগবে না। টোটাল পাওনা স্যার, ১১ দশমিক ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
: মার্কিনিদের নাম আমার সামনে নিবা না। মেজাজ খারাপ হয়ে যায়, মিসাইল মারতে ইচ্ছা করে। ওদের প্রেসিডেন্ট একটা ম্যানারলেস জাংক।
: স্যার তাহলে ডলার লাগবে না। টাকার হিসাবেই দিতে পারেন। ওতেই হবে।
: টাকা আমি ইচ্ছে করেই দেইনি। বন্ধুত্বের নিশানাস্বরূপ আমি বাংলাদেশের কাছে আজীবন ঋণী থাকতে চাই৷ তোমরা এত পুরোনো হিসাব কেন বের করেছো? ভুলে যাও এসব।
: স্যার, করোনায় পকেটের অবস্থা ভাল না। আর এটা তো আমাদের অধিকার। টাকা না দিলে আমরা আপনার নামে ইন্টারপোলের কাছে অভিযোগ করব।
: হাহাহা! ইয়ং ম্যান... টাকা বড় নাকি জীবন বড়? (আবার জল্লাদের মতো হাসি)
: মানে স্যার, কী বলছেন?
: কাল যদি তোমাদেরকে কেউ খুঁজে না পায়, এরপর তোমাদের লাশ পাওয়া যায় উত্তর কোরিয়ায়, সেটা কি ভাল হবে?
: স্যার! ওসব হুমকিতে আমরা ভয় পাই না। আমরা বাংলাদেশি৷ নিজেদের দেশেই যখন তখন গুম হওয়ার রিস্কে থাকি। ওসব আমদের কাছে ডাল ভাত। আপনি পাওনা টাকা দিন। আজই।
: আচ্ছা ঠিকাছে। তোমাদের বিকাশ নাম্বার দাও।
: থ্যাংক ইউ স্যার!
আমরা বিকাশ নাম্বার দিয়ে ফোন রাখতেই 'ইয়েস' বলে চিৎকার করে উঠলাম৷ পরক্ষণেই মনে হল বিরাট লস হয়ে গেছে। কারন, বিকাশে তো পঞ্চাশ হাজারের বেশি পাঠানো যায়না। ঠিক করলাম, ওই ব্যাটারে আবার ফোন দিয়ে আরেকটা বিকাশ নাম্বার দিবো। তখনই আমরা মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লাম, যখন মনে পড়ল যে কিম জং উন এর তো কোনো বিকাশ একাউন্টই নেই!
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন