টিউশনি করায়নি, এমন ছেলে বা মেয়ের সংখ্যা খুব বেশি নয়। সরকারি চাকরি হিসেবে বিসিএস ক্যাডার আর বেসরকারি চাকরি (!) হিসেবে টিউশনির কোনো তুলনা হয় না। সবার জীবনেই প্রেম এবং টিউশনি আসে। আর টিউশনি এলে নিচের কথাগুলো ঘুরেফিরে আসে। কোনো বাসায় টিউশনি করাতে গিয়ে প্রথম দিকে নিচের কোন কথাটি (বা কয়টি) কথা শুনেছেন, দেখুন তো!
১# বুঝলা বাবা, আমার ছেলেটা খুব ট্যালেন্ট। শুধু এইবার একটু খারাপ করছে। একটু ভালো মতো গাইড করলে দেখবা কই চলে যাবে…
২# এক গাদা হোম ওয়ার্ক দিবেন। এক্কেবারে পড়াশোনা করে না। সারাদিন খালি ফেসবুক আর ফেসবুক। হোমওয়ার্কের চোটে যেন মোবাইল আর ধরতে না পারে।
৩# পড়া না পারলে এক্কেবারে কানের নিচে বসাবেন। মাইর না দিলে পোলাপান মানুষ হয় নাকি?
৪# পড়া যদি দিতে না পারে, আমাকে বলবেন। পিঠের ছাল তুলে দিবো একেবারে।
৫# আমি যা বলি, স্ট্রেইট বলি। মেয়ের বাবা কিন্তু খুবই কনজারভেটিভ। পড়াতে আসছো, পড়ায়ে চলে যাবা। বইয়ের ফাঁকে চিঠি, ফেসবুকে মেসেজ পাঠানো- এগুলো যেন না দেখি।
৬# পড়ানোর সময় আমি পাশে বসে থাকলে তোমার কোনো সমস্যা নাই তো?
৭# পেন্সিলটা বাবা গোড়ায় না, আগায় ধরবা।
৮# একেবারে নিজের ছোট ভাই/বোন মনে করে পড়াবে। পড়ার ব্যাপারে কোন কিছু আমাকে জানাতে হলে একেবারে লজ্জা করবা না।
৯# ওকে তো পড়াবাই তুমি। মাঝেমধ্যে ওর ছোটটাকেও একটা দেখিয়ে টেখিয়ে দিয়ো।
১০# তোমার উপর আমার অনেক ভরসা। তুমিই পারবা আমার মেয়েটাকে লাইনে আনতে।
১১# পড়ানোর সময় একেবারে মোবাইল টেপাটেপি চলবে না। না তোমার, না তোমার ছাত্রীর।এই মোবাইল টিপেই জেনারেশনটা গেলো।
১২# আপনাকে পয়সা দেয়া হবে ফিজিক্স পড়ানোর জন্য। ফিজিক্স পড়াতে গিয়ে আবার নিজেদের কেমিস্ট্রি তৈরি করে নিয়েন না।
১৩# ঘড়ি ধরে টানা দুই ঘণ্টা পড়াতে হবে। এক মিনিটও এদিক-ওদিক করা যাবে না।
১৪# টাকাটা একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে না? ছাত্রাবস্থায় আমিও টিউশনি করাইছি। এর অর্ধেকও পাইতাম না।
১৫# আপনি কোনো দলটল করেন না তো? দয়া করে পলিটিক্সের আলাপ আমার ছেলের সাথে করবেন না।