বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি কার্যক্রম এখন শেষের দিকে, ক্যাম্পাসে এসেছে নতুন মুখ। নতুন প্রেমে পড়ার এই মোক্ষম সময়ে অনেকেই ভুলভাল প্রেমে পড়ে যান৷ ডিপার্টমেন্ট জেনে প্রেম করলে এক্ষেত্রে অনেকাংশেই সুবিধা হয়। আপনি যদি ছেলে হন এবং ক্যাম্পাসে নতুনও হন, কোন কোন বিভাগের মেয়েদের সাথে প্রেম করবেন তা আপনাকে অনেকেই জানাবে। কিন্তু কোন বিভাগের মেয়েদের সাথে প্রেম করবেন না, সেটা জানাও কি কম জরুরি? eআরকি ছাড়া এসব কথা কে-ই বা জানাবে! কানে কানে বলি শুনুন, তথ্যবিজ্ঞানের মেয়েদের সাথে প্রেম করবেন না। কারণ... এই যে নিচে রয়েছে, একটি না, একেবারে দশটি!
১# এই বিভাগের মেয়েরা সবচেয়ে স্মার্ট, কারণ তাদের কাছে সকল ধরণের নতুন-পুরনো তথ্য মজুদ থাকে । আর জানেন তো, এখন তথ্যেরই যুগ! যার কাছে যতো ইনফরমেশন, সে ততো স্মার্ট! তাই এরা এত স্মার্ট, এত স্মার্ট, এত স্মার্ট যে প্রেম করতে গেলে এদের সাথে স্মার্টনেসে টিকতে পারবেন না।
২# এরা দুর্দান্ত সাহসী এবং প্রতিবাদী এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। কলাভনের নীচতলায় বিভাগ হওয়ায় এরা ক্লাসে বসেই বাইরের সব কার্যক্রম দেখতে পারে এবং ক্লাসরুমের বাইরের তথ্যও জানতে পারে। এতে করে এদের ভেতরে তৈরি হয়েছে অন্তর্ভেদী দৃষ্টি। তাই এদের সাথে কোনোভাবেই ছলচাতুরি করার সুযোগ পাবেন না। নিশ্চিত ধরা খাবেন এবং জায়গামতো বাঁশ খাবেন।
৩# সৌন্দর্য, বিদ্যায় ও বুদ্ধিতে তথ্যবিজ্ঞানের মেয়েরা সর্বাগ্রে। তাই এদের জন্য হাজারো সুপুরুষ লাইন ধরে আছে। আপনি ইগো দেখিয়ে যাবেন আর অন্যকেউ এসে টকাশ করে নিয়ে চলে যাবে। এ ব্যাপারে তাই মানিক ভাই বলেছেন, 'সো গাইজ, বি কেয়ারফুল।'
৪# এরা বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও লাইব্রেরির প্রতি এদের থাকে আলাদা টান। লাইব্রেরি যদি আপনার বোরিং লাগে কিংবা এই বিষয়ে যদি কোনো কটুক্তি করেন এই যেমন, 'আরেহ তুমি তো পড়েছো আলমারি বিদ্যায়।'
প্লিজ, আপনি সাইডে চাপেন আপনার সময় এখানেই শেষ।
৫# এই বিভাগের বেশিরভাগ মেয়েই খুব ফানলাভিং এবং স্বাধীনচেতা হয়। তাই জোর করে কিছু চাইলেই চাপাতে পারবেন না। তবে আপনার উপর অনেককিছু চেপে বসবে সেইজন্য প্রস্তুতি নিন ।
৬# ভুলভাল গালগল্প করা এরা পছন্দ করে না। এদের কাছে সঠিক তথ্য থাকে আর নিজের কাছে না থাকলে তারা জানে কার কাছে আছে। কারণ, তারা রেফারেন্স সার্ভিস সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখে। ব্যাপারটা হচ্ছে, 'আই ডোন্ট নো বাট আই নো হু নোজ'! তাই গালগল্প দিয়ে পটাতে গেলে ধরা খাবেন শিওর।
৭# আপনি দুই বছর আগেও যদি ছোটখাটো কোনো অপরাধ করে থাকেন, ভাববেন না সেটা তথ্যবিজ্ঞানে পড়ুয়া কেউ ভুলে গেছে (তাও আবার মেয়ে, মেয়েরা কি কিছু ভোলে নাকি!), কারণ কীভাবে সঠিক উপায়ে তথ্য সংরক্ষণ করতে হয় এবং গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আর্কাইভ করতে হয় তা সে দক্ষতার সাথে জানে।
৮# যদি আপনি ভাবেন মেয়েরা টেকনোলজি সম্পর্কে কি জানে, একে বোকা বানিয়ে অনলাইন-অফলাইনে দশটা মেয়ে নিয়ে নাচানাচি করবেন, আপনার সেই আশায় গুড়েবালি, এরা একেকজন সোশ্যাল মিডিয়া এনালিস্ট! বলতে পারেন লেডি শার্লক হোমস!
৯# যেকোনো কথায় যদি আপনার 'আরেহ তুমি এসব বুঝবা না' বলার অভ্যাস থাকে, সেই অভ্যাস বাদ দিন। এরা নানান রকম তথ্যের পাশাপাশি একাধারে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, সাংবাদিকতা এবং টেকনোলজি সম্পর্কেও যথেষ্ট ধারণা রাখে কারণ পাঁচটা বছর এদেরকে সেগুলি গিলিয়ে গিলিয়ে খাওয়ানো হয়েছে!
১০# প্রেমিকাকে প্যারা দেয়াই যদি হয় আপনার প্রেম করার মূল মোটিভেশন, তাহলে তথ্যবিজ্ঞানের মেয়েদের সাথে প্রেম না করাই ভালো। এরা লাইব্রেরি অটোমেশন প্রসেস আর ক্লাসিফিকেশন নিয়ে এতো প্যারা খেয়েছে যে আপনার দেয়া কোনো প্যারাই আর প্যারা মনে হবে না। এরা প্যারাকে কোহা সফটওয়্যার দিয়ে অটোমেটেড করে প্রেমে রূপান্তরিত করে নেয়ার মতো বাস্তবজ্ঞানসম্পন্ন!