১# র্যাগিং ডে
ডিপার্টম্যান্টের নতুন শিক্ষার্থীদের র্যাগিং দিয়ে নাজেহাল, মানসিক ও শারীরিকভাবে অ্যাবিউজ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মানবিক ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্য হাজার বছর পর্যন্ত টিকিয়ে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইথিক্যাল রিভিউ কমিটি র্যাগিং-এর জন্য একটি দিবস উৎস্বর্গ করতে পারে। এই দিবসে উৎসবের মাধ্যমে র্যাগিং করা হবে। এতে যোগ হবে শিক্ষকরাও। এক্ষেত্রে পুরোনো শিক্ষকরা নতুন শিক্ষকদের র্যাগ দিবে।
২# গণরুম দিবস
বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানার শেখানোর এই আঁতুড়ঘরকে একটা দিবস দেয়াই যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্রাতৃত্ববোধ, শৃঙখলাবোধ, পলিটিক্যাল ভাইদের দায়িত্ববোধের বার্তা নিয়ে প্রতিবছর এই দিবসটি আসবে। এই দিবসে পলিটিক্যাল বড়ভাইরা ম্যানারের স্পেশাল ক্লাস নিবে। অনুষ্ঠানে ডিন, শিক্ষক, সাংবাদিক সবাই উপস্থিত থাকবে। সবচেয়ে ভালো ম্যানার শেখানো পলিটিক্যাল বড় ভাইদের পদক দেয়ার ব্যবস্থাও করা যেতে পারে।
৩# কপি-পেস্ট ডে
এই দিবসটি শিক্ষকদের জন্য। কিছুদিন পর পরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নকল গবেষণাপত্রের খবর আসে সংবাদ মাধ্যমে। এই দিবস মূলত গবেষণা কপি পেস্ট করা সেই সকল শিক্ষকদের উৎসর্গ করা হবে। ঢাবির অধ্যবসায়, গবেষণা, বৈশ্বিক পরিবর্তনে অবদান, বুদ্ধিদীপ্ততার বার্তা নিয়ে আসবে এই দিবসটি। নকল করা সবাইকে দেয়া হবে পদক। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় নকলবাজকে দেয়া হবে 'অক্সফোর্ড গট ট্যালেন্ট' অ্যাওয়ার্ড।
৪# 'বড়ছেলে' দিবস
এই দিবসটি মমত্ববোধের প্রতিক। গ্রাজুয়েশন শেষ হয়ে গেলেও বিশেষ ক্ষমতা বলে কিছু কিছু শিক্ষার্থী ৬,৭,৮,১০ এমনকি ১২ বছরও হলে থেকে যায়। এরাই মূলত বড়ছেলে। বড়ছেলে দিবসের মাধ্যমে সদ্য গ্রাজুয়েশন শেষ করে হলে থেকে যেতে চাওয়া নবীন বড়ছেলেদের বরণ করে নেয়া হবে। এক হলের বড়ছেলেরা অন্য হলের বড়ছেলেদের সাথে গেট টুগেদার করবে। আর হ্যাঁ, সবচেয়ে বেশি সময় হলে থেকে যাওয়া বড়ছেলেকে দেয়া হবে 'বর্ষসেরা বড়ছেলে' অ্যাওয়ার্ড।
৫# ছা, ছমুছা, সিঙ্গারা ডে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ বছরের পুরোনো এই ঐতিহ্যের কথা কে না জানে! হ্যাঁ, এই ছা, ছমুছা, সিঙ্গারা একটা দিবস ডিজার্ভ করেই। এই দিবসে প্রশাসন থেকে ফ্রি ছা, ছমুছা, সিঙ্গারা দেয়া হবে। আয়োজন করা হবে প্রতিযোগিতারও। প্রতিযোগিতায় যে সবচেয়ে বেশি ছা, সিঙ্গারা, ছমুছা খাবে তাকে দেয়া হবে 'ঢাবিয়ান অফ দ্য মান্থ' অ্যাওয়ার্ড।