ঢাবি সমাবর্তনে গ্র্যাজুয়েটরা আরও যে ১২টি 'ইনোভেটিভ' পোজে ছবি তুলতে পারতেন

২৫৩৬ পঠিত ... ১৬:৪৫, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯

শেষ হয়ে গেছে ঢাবির সমাবর্তন, ক্যাম্পাসে শেষ হয়েছে 'উকিলদের' পদচারণা। গর্বিত গ্র্যাজুয়েটদের ছবি তোলাতুলিও শেষ। সমাবর্তনের এই মৌসুমে অনেকেই তুলেছেন নানান মজার ছবি। কিন্তু কিছু পোজ কিন্তু তারা মিস করে গেছেন! আরও কী কী 'ইনোভেটিভ' পোজে তারা ছবি তুলতে পারতেন, বসে বসে সেগুলোই চিন্তা করে বের করেছেন আমাদের সমাবর্তন না পাওয়া আইডিয়াবাজদের দল।


১# গ্র‍্যাজুয়েট হিমু

একটা হলুদ শর্ট পাঞ্জাবি বানিয়ে ফেলুন। গাউনের ওপর জড়িয়ে নিন। হলুদ পাঞ্জাবি দেখা যাবে। গাউনের নিচের অংশও দেখা যাবে। থাকবেন খালি পায়ে। তারপর ক্লিক ক্লিক শুরু!

 

২# জোকার গ্রাজুয়েট

এই পোজে তেমন কষ্ট নাই। গাউন ক্যাপ পরুন। জোকারের মুখের মেকাপ তো জানেনই।

 

৩# 'ঢেলে দেই' গ্র্যাজুয়েট

তাহেরী সাহেবের মতো বসে ঢেলে দেওয়ার পোজ দিন। দর্শক হিসেবে সামনের সাড়িতে গ্র‍্যাজুয়েট বন্ধুদেরকে রাখুন।

 

৪# ভিক্ষুক পোজ

কনভোকেশনের ড্রেস পরে একটা থালা নিয়ে সারিবদ্ধভাবে টিএসসির সামনে বসে পড়ুন। কেউ আপনার ডাক না শুনলে একাই বসে পড়তে পারেন। গ্র্যাজুয়েশনের পর কী করবেন, এই প্রশ্নের উত্তরটা আগেই ছবি তুলে দিয়ে রাখতে তো ক্ষতি নেই, নাকি?

 

 

৫# স্পাইডার ম্যান কিস

ইয়ে, এই পোজে ছবি নিজ দায়িত্বে তুলুন। পরবর্তী কোনো অনুভূতিবিষয়ক কাইজ্যার জন্য আমরা দায়ী না।

 

 

৬# গনেশ গাইতোন্ডে

স্যাক্রেড গেমস চরিত্র গনেশ গাইতোন্ডে। লুঙ্গিতে কোচ মেরে রাজকীয় কোনো চেয়ারে বসে দিয়ে দিন একখান সেইরকম পোজ।

 

 

৭# মাইকেল জ্যাকসন পোজ

কনভোকেশন পোশাক এই পোজের জন্য খাপে খাপ। ব্রেক ডান্সের পোজে সেই মানাবে।

 

 

৮# ছায়া চুম্বন

চুমু খাওয়ার পোজ দিবেন আপনারা। ছবি তুলবেন ছায়ার। ক্যাপশন দিবেন, কোথাও কোন হৈচৈ নাই!

 

 

৯# ন ডরাই গ্র‍্যাজুয়েট

মেয়েদের জন্য খুবই সুবিধাজনক পোজ। ন ডরাই সিনেমার পোস্টার দ্রষ্টব্য।

 

১০# বালিশ-পর্দা-পেঁয়াজ

তিনজন গ্র্যাজুয়েট পাশাপাশি দাঁড়াবেন, তিনজনের হাতে থাকবে এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে দামি তিনটি বস্তু, যথাক্রমে বালিশ, পর্দা ও পেঁয়াজ। এতে গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী সময়ে বিয়ের বাজারেও আপনি থাকতে পারেন টপে।

 

১১# জম্বি পোজ

'আমরা সবাই ভূত, আমাদের ভূতের রাজ্যে' ধরনের একটা ছবি খিচুন! অথবা নরমালি গ্র্যাজুয়েশনের গাউন পরে ছবি তুলে ডার্ক ইফেক্ট হাবিজাবি দিয়ে জম্বি ট্রান্সফর্মেশন করে নিলেও চলে।

 

 

১২# মুমূর্ষু গ্র্যাজুয়েট

যে টগবগে তরুণটি হিসেবে আপনি ভর্তি হয়েছিলেন ভার্সিটিতে, তা নিশ্চয়ই এখন আর নেই। পড়ালেখার আর ডিপার্টমেন্টের প্যারায় চিড়েচ্যাপ্টা হয়ে গেছেন, মৃতপ্রায় অবস্থাই বলা চলে। সুতরাং ঢাকা মেডিকেলের সামনে থেকে একটা অ্যাম্বুলেন্স কিংবা অ্যাম্বুলেন্সের বেড ম্যানেজ করুন। শুয়ে পড়ুন, ছবি তুলুন এবং ক্যাপশন দিন- এই ডিপার্টমেন্টে চার বছর পড়ে আমার যে অবস্থা!

২৫৩৬ পঠিত ... ১৬:৪৫, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯

Top