বিশ্ব যখন তীব্র গেম অব থ্রোনস জ্বরে আক্রান্ত, তখন চারপাশের ফ্যানদের উন্মাদনার অত্যাচার অনেকটা মুখ বুজেই সহ্য করতে হচ্ছে যারা গেম অব থ্রোনসের ফলোয়ার নন তাদের। অবশ্য সবক্ষেত্রে সবাই মুখ বুজে নেই, ‘আমিই কি একমাত্র?’ গোষ্ঠি আর ‘হাত তুলুন কারা কারা’ গোষ্ঠী বারবার সমস্বরে বিশ্ববাসীকে জানান দিচ্ছেন যে তারা বাকি সবার মতো গেম অব থ্রোনস দেখছে না। তবে মুখ বুজে হোক আর মুখ খুলেই হোক, টানা ৭ বছর ধরে অনলাইনজুড়ে গেম অব থ্রোনসের যেই ঝড় চলছে, সেই ঝড়ের দাপটে প্রায় সবারই সিরিজটা সম্পর্কে একটা ভাসা ভাসা ধারণা হয়েই যায়। তাই একজন নন ওয়াচারের চোখে নানা ধরনের মিম ও গল্প শুনে গেম অব থ্রোনসের চরিত্ররা কেমন, সেটাই খুঁজে দেখার চেষ্টা করা হলো রেডিট ডটকম অবলম্বনে eআরকির এই পোস্টে।
জন স্নো
- এই ছেলেটা বাস্টার্ড। (আক্ষরিক অর্থে নাকি রূপকঅর্থে, সেইটা শিওর না অবশ্য।)
- কিচ্ছু জানে না।
- সাদা রঙের একটা নেকড়ে আছে।
- জম্বিদের সাথে ফাইট দেয়।
- গতবছর মইরা গেছিল, ইদানিং নাকি আবার কোথাকার রাজা হইছে।
খালিসি
- মহিলা দেখতে সুন্দর আছে।
- নাম অনেক লম্বা।
- ফ্রেন্ডজোনড করতে ওস্তাদ।
- ড্রাগনওয়ালি। ড্রাগন পালে। নাকি নিজেই ড্রাগন। শিওর না। ড্রাগনের পিঠে চইড়া উড়াউড়িও করে মনে হয়।
- হেহে, না মানে অনেকগুলা ‘ইয়ে’ ছবি আছে এনার, হেহে। চরিত্রের প্রয়োজনে সব করতে পারেন।
টিরিয়ন
- বাইট্টা। আগে দাড়ি ছিলো না, এখন মুখভর্তি দাড়ি।
- কথাবার্তায় খালেদ মুহিউদ্দীনের আপন ছোটভাই। আর সিরিজ ক্যারেকটার হিসেবে হাউজের সাথে মনে হয় মিল আছে।
- খালি মদ খায়।
- ভালো ভালো বাণী দিছে।
- সাইজে ছোট হইলে কী হবে, মেয়েমানুষের ব্যাপারে ওস্তাদ।
সার্সি
- কোথাকার কুইন জানি।
- ড্রাগনওয়ালির মেইন ভিলেন মনে হয়।
- এই কি সেই যে ভাইয়ের সাথে আকাম করছে?
- কেউ এরে দেখতে পারে না।
- নিজের শহর পুরাটা জ্বালায় দিছিল একবার।
- কী কারণে জানি একবার চুল ন্যাড়া করে রাস্তা দিয়ে হাটাইছিল।
জফরি
- বিশাল বড় শয়তান।
- ইশ, চেহারা দেখলেই তো একটা খাটাশের মতো লাগে। আমি কাহিনী জানি না কিন্তু আমারও এরে দেখতে ভালো লাগে না।
- শালারভাই।
- এক সময় রাজা আছিল। আর্টিস্টির জামা পরতো।
- ধুরো, শুধুমাত্র এরে মরতে দেখার জন্যই তো সিরিজটা দেখতে ইচ্ছা হইতেছে।
হোডর
- দরজা ধইরা রাখে সম্ভবত সবসময়।
- হোডোর
- হোডর
- হোডর