অমিতাভ বকসী
মির্জাপুর সিরিজের ১ম দুই সিজন দেখছিলাম বিয়ের আগে।
গতকাল সিজন ০৩ চলে আসায় সাথেসাথেই দেখতে বসছিলাম। হুট করেই বউ এসে পাশে বসল।
: কী দেখো?
: এই একটা সিরিজ
: কী সিরিজ?
: মির্জাপুর
: চলো একসাথে দেখি?
: তুমি তো মনে হয় আগের দুই সিজন দেখো নাই!
এরপর বউ বলল, অসুবিধা নাই। চলো প্রথম সিজন থেকে দেখা শুরু করি আবার।
একবার ভাবলাম তার এই প্রস্তাব খারিজ করে দেই। পরে গত এক বছরের বিগ ডাটা এনালাইসিস করে সিদ্ধান্ত পাল্টালাম। বললাম, আচ্ছা চলো ১ম সিজন থেকেই শুরু করি আবার।
১ম সিজনের প্রথম এপিসোডের ৬ মিনিটের মাথায় বউ বলল, দাঁড়াও পপকর্ন ভেজে নিয়ে আসি। পপকর্ন ছাড়া মুভি সিরিজ জমে না আসলে।
আমি পজ করে বসে আছি। ১৬ মিনিট পর বউ পপকর্ন নিয়ে আসলো। আবার দেখা শুরু করলাম। ৩৫ মিনিট পর বউ বলল, দাঁড়াও ভাতটা বসায়ে আসি। আবার পজ করলাম। বউ ভাত রান্না করে পানি ঝাড়তে দিয়ে একসাথে আসলো প্রায় ৩০ মিনিট পর। আবার দেখা শুরু করলাম। ২য় এপিসোড শুরু করার ৩ মিনিটের মাথায় বউ এর ফোন বেজে উঠল। শাশুড়ির ফোন। মিনিমাম এক ঘণ্টা লাগবে শেষে হতে। আমি যে এই ফাঁকে লুকিয়ে সিজন ০৩ শুরু করব, সে সুযোগও নাই।। সব সময় টিভি রুমে বসেই কথা বলে বউ।
যাই হোক, লং স্টোরি শর্ট গত কাল থেকে এই পর্যন্ত বউয়ের সাথে মির্জাপুর সিজন ০১ উপভোগ করতেছি। আমরা এখনও এপিসোড ০২ এর একদম শেষের দিকে আছি। বউ মুখের ফেইসপ্যাক ধুয়ে ফেললেই আবার শুরু করব।
আশা করছি বড় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলে এই বছরেই প্রথম দুই সিজন শেষ করে ফেলতে পারব আমরা। আর প্রথম ০২ সিজন দেখা শেষ হলেই আর দেরি করব না, তা যতই ব্যস্ততা থাকুক আমাদের ২০২৫ এর একদম শুরুতেই সিজন ০৩ শুরু করে দেব।
অফ টপিক: সিজন ০১ আর ০২ একটানা দেখছিলাম, সম্ভবত দেড় দিন লাগছিল সেবার। কিন্তু মজা পাই নাই, কারণ তখন আমার বউ ছিল না। বউ ছাড়া সিরিজ দেখে আসলে মজা নাই!