আজকের অবস্থা বুঝতে হলে আপনাকে শ্রীলংকার ইতিহাসটা একবার ঘাটতে হবে।
স্বাধীনতা লাভের মাত্র ৮ বছরের মাথায় ১৯৫৬ সালে একবার শ্রীলংকার গ্লাসগোকোমা স্কেল ৩-এ নেমে আসে। তৎকালীন সোভিয়েন ইউনিয়নের সহায়তায় ৪ বছর পর লংকানরা সে ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে উঠলেও ১৯৬৬ সালে আবার তাদের স্কোর আবার ৫-এ নেমে যায়। শুধু তা-ই নয়, সেবার শ্রীলংকার অর্থনীতির চাইল্ডপাঘ স্কোর এবং সোফা স্কোরেও মারাত্মক পতন হয়।
ধস ঠেকাতে সেবার বিভিন্নরকম ব্রোমোক্রিপ্টিন এবং কাবার্গোলিন বাড়িয়ে দেয় পরাশক্তিগুলো। ডুবতে ডুবতে সেবার কোনোরকমে হিপ্পোক্যাম্পাস ধরে ঘুরে দাঁড়ায় শ্রীলংকা।
স্বাধীনতার ৭০ বছর পর আবার একই ভুল করবে শ্রীলংকা, সেটা অনেক অর্থনীতিবিদই ভাবতে পারেননি।
Ernest Jawetz এবং Warren E. Levinson দুজনই একবাক্যে বলছেন, ‘লংকান সরকার কীভাবে এতটা থ্যালিডোমাইড হয়ে গিয়েছিলো!’
আসলেই! কীভাবে পেরেছিলো তারা?
এবার আসেন বাংলাদেশের ইতিহাসে।
স্বাধীনতা লাভের পর থেকে চীনের সাথে আমাদের সম্পর্কটা খেয়াল করুন। যে দৃশ্য আপনি দেখবেন তাতে আপনার শরীর শিউরে উঠতে বাধ্য।
সম্পর্কের ওয়েভগুলাকে বিশ্লেষণ করুন, দেখবেন কখনও পি ওয়েভ নেই, কখনও টি ওয়েভ নেই!
মাঝে মাঝে কিউটি ইন্টার্ভালটা মারাত্মকরম বেশি! ভাবা যায়?
আবার বাণিজ্যের এমআরআই ছবিগুলা যদি একটু জুম ইন-আউট করেন তাহলে ডিফিউশন ওয়েইটেড ইমেজ এবং এডিসিতে দেখবেন যায়গায় যায়গায় ইনটেনসিটির পার্থক্য! সবচেয়ে বেশি পার্থক্য আবার ব্যাসাল গ্যাংগলিয়ায়! অবিশ্বাস্য!
চীন, বাংলাদেশ এবং উত্তর আফ্রিকার দেশ আলিমুমাবকে যদি আপনি পাশাপাশি রাখেন তাহলে পরিষ্কার দেখবেন আগামী মাসের ২৯ তারিখ দুপুর দুইটার মধ্যেই বাংলাদেশ শ্রীলংকা হয়ে যাবে।
ঢাকা হয়ে যাবে হাম্বানটোটো।
সিলেট হয়ে যাবে পুট্টালাম।
চট্টগ্রাম হয়ে যাবে ডাম্বুল্লা।
খুলনা হয়ে যাবে বাট্টিকালোয়া।
শুধু তা-ই নয়।
আমাদের সাকিব আল হাসান হয়ে যাবেন মুত্তিয়া মুরালীধরণ। মাশরাফি হয়ে যাবেন কুমার সাঙ্গাকারা।
বাংলাদেশ, প্রস্তুত তো?
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন