- পরিচিত কারো সাথে ডাক্তার মেয়ে বিয়ে দিয়েন না পলাশ ভাই।
- কেন?
- আমারে দেখেন, ডাক্তার মেয়ে বিয়ে করে কি এক বিপদে যে আছি। বিয়ের রাতে, বাসর ঘরে ঢুকার পর আমি পুরাই বেকুব। নতুন বউয়ের কিসের ঘোমটা কিসের কি, দেখি টেবিলে মোটা মোটা দুই তিনটা বই রাখা, বড়ো বড়ো চোখ করে পড়তাছে। আমারে দেখে বলে, কিছু মনে করবেন না, আমার তিনদিন পরে পরীক্ষা, বিয়ের ঝামেলায় পড়তে পারি নাই ঠিকমতো। আজকে সারারাত না পরলে ফেইল করতে হবে।
- সারারাত পড়ছে?
- তাইলে? মাঝখানে আমি একবার ভদ্রতা করে জিজ্জাসা করছি কিছু লাগবে কি না? এই ভদ্রতা করতে গিয়া আরেক বিপদ। আমারে বলে এক ফ্লাস্ক চা দিতে, এতো রাইতে আমি চা পাই কই? পরে রাত তিনটায় শেরওয়ানি পড়ে কিচেনে ঢুকছি চা বানাইতে, আল্লাহ্ বাঁচাইছে কেউ দেখে নাই।
- পরীক্ষার পর তো সব ঠিক হয়ে গেছে না?
- আরো খারাপ হইছে, পরীক্ষার পরই শুরু হইছে ইন্টার্নি, তার উপর আবার রাতে ডিউটি, আগে যাও রাতে কাছে পাইতাম, এখন তাও গেলো। সারারাত ডিউটি দিয়া বাসায় আসার পরে, সারাদিন নাক ডাকাইয়া ভুস ভুস শব্দ কইরা ঘুমাইতো।
- তাইলে তো তুমি রোমান্টিকতা করতে পারো নাই।
- একবার চেষ্টা করছিলাম, গভীর রাতে এসএমএস দিছি, তোমারে কাছে পাইতে ইচ্ছা করতাছে, বউ রিপ্লাই দিছে, হাসপাতালে চইল্যা আসো।
- পরে কি করলা?
- কি করমু আর? একটা রিলাক্সিন খাইয়া, শরীর রিলাক্স কইরা ঘুমাইয়া গেছি। বউ ডাক্তার হওয়াতে একটা সুবিধা হইছে, কখন কি ঔষধ খাইতে হইবো মোটামুটি জানা শেষ।
- তোমার একটা ছেলে হইছে না? দেখতে কেমন হইছে?
- মহাত্মা গান্ধীর মতো দেখতে পলাশ ভাই। মহাত্মা গান্ধীরে প্যাম্পার পড়াইলে যেমন দেখাইবো, তেমন লাগে দেখতে। ভালো কথা, ভাবি ডাক্তার না তো?
- না, ওর ডাক্তারি পড়ার শখ ছিলো, পরে কি কারণে যেন পড়া হয় নাই।
- আল্লাহ্ বড় বাঁচাইছে পলাশ ভাই, ভাবিরে না– আপনারে...
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন