এক স্ট্রাগলার অভিনেতা অনেক কষ্ট করে সিনেমায় একটা ক্যারেক্টার জুটিয়েছে। চাকরের রোল। পরপর তিন দিন তিনটা দৃশ্যে সুপারস্টার নায়ককে চা এনে দিয়েছে ড্রইংরুমে। কোনো সংলাপ নেই। স্ট্রাগলারের মন খারাপ--আহারে, সিনেমায় কি তার ডায়লগ থাকবে না?
চতুর্থ দিন এসে দেখে এই দৃশ্যটাই তার শেষ দৃশ্য। এই দৃশ্যেও সে চা দিচ্ছে সুপারস্টার নায়ককে। তবে এবার স্ট্রাগলারের ভাগ্য ভালো। এই দৃশ্যে তার সংলাপ আছে। টেবিলে চা রেখে নায়ককে বলতে হবে--আমার বাবা খুব অসুস্থ! আমাকে আজকেই গ্রামে যেতে হবে! নায়ক বলবে, ঠিক আছে যাও। এই টাকাগুলো নিয়ে যাও।
স্ট্রাগলার সকাল থেকেই উদ্বিগ্ন। সুপারস্টারের সামনে সংলাপ বলা--হলভর্তি মানুষ দেখবে। অভিনয়টাও ঠিক হওয়া দরকার। বাবার মৃত্যুচিন্তাটা যেন চেহারায় কণ্ঠে আসে। স্ট্রাগলার নানাভাবে নিজের প্রস্তুতি নিলো। মেথড অ্যাকটিং গুলে খেলো।
যথা সময়ে শট নেয়া শুরু হলো। স্ট্রাগলার চা নিয়ে ফ্রেমইন করতেই সুপারস্টার বলল, আমি জানি তোমার বাবা অসুস্থ... এই টাকাগুলো নিয়ে এক্ষুনি গ্রামের বাস ধরে নাও!
স্ট্রাগলার টাকা নিয়ে থম মেরে দাঁড়িয়ে থাকল। ডিরেক্টর কাট বলে বলল, এক্সেলেন্ট শট!
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন