বরাবরের ন্যায় এফসিফিএস পার্ট ওয়ানের রেজাল্টে এবারও ভরাডুবি। এবার পাশের হার নেমে এসে হয়েছে মাত্র পাঁচ পার্সেন্ট। অন্য বছরগুলোর চেয়ে এ বছর পাশের হার এত কম হওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে কর্তৃপক্ষ দায়ী করেন ছাত্রদের অর্থাৎ নব্য ডাক্তারদের, নব্য ডাক্তাররা দায়ী করেন কর্তৃপক্ষকে। তবে সদ্য পাশ করা কিছুসংখ্যক ডাক্তার বলছেন, এসএসসি-এইচএসসির মত এফসিপিএসেও প্রশ্ন ফাঁস হয়নি বলেই পাশের হার এভাবে কমে আসছে।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক আরও একজন সদ্য পাশ করা ডাক্তার জানান, 'এখন হইল প্রশ্ন ফাঁসের যুগ। অথচ আমরা সেই উনিশ শ তেপ্পান্ন সাল থেকে প্রশ্নফাঁস ছাড়াই পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছি! যুগের সাথে তালে মেলাতে না পারলে কি আর রেজাল্ট ভালো হপে?'
পাশ থেকে আরও একজন ডাক্তার শংকা প্রকাশ করেন, এভাবে চলতে থাকলে একসময় পাশের হার চলে যেতে পারে মাইনাসের ঘরে। তাই তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রশ্নফাঁসের জোর দাবি জানান।
এদিকে ফাঁস হওয়া প্রশ্নে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে এসে বর্তমানে মেডিকেলে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীরা এফসিপিএসের রেজাল্ট দেখে ভয়াবহভাবে আতংকিত হয়ে পড়েছেন। এদের মধ্যে একজন শিক্ষানবিশ ডাক্তার ফাসু মিয়া (প্রশ্নফাঁস এক্সপার্ট হওয়ায় লোকাল পর্যায়ে তাকে এমন না দেয়া হয়) বলেন, 'ভাই এইগুলা কী! এসএসসি-এইচএসসি-ভর্তি পরীক্ষা কী সুন্দরমত দিলাম! এখন আইসা শুনি এফসিপিএসে নাকি প্রশ্নফাঁস টাস নাই! এগুলা কি কথা না কথার জাত বলেন তো? প্রশ্ন ফাঁস এখন সময়ের দাবি। আমাদের দাবি না মানলে নাই, সময়ের দাবি তো মানতেই হবে, নাকি?'
এ ব্যাপারে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মতামত জানতে চাওয়া হলে তারা এফসিপিএস পরীক্ষার রেজাল্ট উন্নয়নে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে জানান। তবে সাধারণ মেডিকেল ছাত্ররা এফসিপিএসের এই পাশের খরা কাটাতে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত মহলগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।