পিত্তথলির পাথর—যাকে মেডিকেলেরর ভাষায় বলে কোলেলিথিয়াসিস। অত্যন্ত পরিচিত সমস্যাগুলোর একটি। আশেপাশে তাকালেই দেখা যায় ১০০ জনের মধ্যে অন্তত ২ জন এই সমস্যায় আক্রান্ত। গায়ক আলবার্ট আইনস্টাইন বহুদিন আগেই বলেছিলেন, 'ইন দ্য মিডল অফ এভ্রি ডিফিকাল্টি, দেয়ার ইজ অপরচুনিটি'
যার সারকথা, সব সমস্যার মধ্যেও কোনো একটা ফায়দা নেওয়া যাবে।
এ কথাকেই মনে প্রাণে ধারণ করেছেন ঢাকার গুলিস্তানের হাসেম আলী। জানা যায়, ২০১৬ সালে প্রথম বারের মতো হাসেমের পিত্তথলির পাথর অপারেশন হয়। এ সময় ল্যাপারোস্কোপিক পদ্ধতিতে বের করে আনা হয় অসংখ্য পাথর। অপারেশনের মেইন সার্জন জানান, এত পাথর একসাথে একজনের দেহে তিনি এর আগে কখনও দেখেননি। হাসেমের অনুরোধেই পাথরগুলো ছুটির সময় দিয়ে দেওয়া হয় তাকে। বাড়ির লোকজনের ভাষ্যমতে, বাড়ি ফেরার পর হতে তিনি মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতেন এই পাথরের দিকে। এমনকি রাতে ঘুমানোর সময়ও একে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতেন।
একদিন ঘুম থেকে উঠে হাসেম আলী সিদ্ধান্ত নেন এই পাথর দিয়ে তিনি বাড়ি বানাবেন। এমনিতেও পাথরের যা দাম! গুণে মানে পিত্তথলির পাথর সাধারণ পাথরের চেয়ে কম কোথায়? যেই ভাবা সেই কাজ। ডাক্তারের পরামর্শের ব্যত্যয় করে নিয়মিত শুরু করেন ফাস্ট ফুড খাওয়া। একে একে গোটা পরিবারেরই গল স্টোন ধরা পরে এবং শেষ পর্যন্ত অপারেশন করে তা বের করা লাগে। স্বয়ং হাসেম আলীরই ফেব্রুয়ারি মাসে সপ্তম বারের মতো পিত্তথলির পাথর অপারেশন করা হয়।
এখন পর্যন্ত বের করে আনা পাথর দিয়ে দোতলা পর্যন্ত কাজ কম্পলিট হবে বলে জানিয়েছেন বাড়ির মূল ডিজাইনার। ইতিমধ্যে নিচ তলার কাজ সম্পন্নও হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে গর্বিত হাসেম আলী এবং তার পরিবার বাড়ির নাম রেখেছেন 'পিত্তবাড়ি'।