বাংলাদেশ হকি দলে ডাক পাচ্ছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। জাতীয় দলের স্কাউটিং প্যানেলের এক সদস্য নিজের ফেক আইডি থেকে এ খবর জানান। সম্প্রতি হকস্টিক নিয়ে পোজ দেয়া ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতাকর্মীর ছবি দেখে এ সিদ্ধান্ত নেন হকি ফেডারেশন।
নিজেদের এক বিবৃতিতে হকি ফেডারেশনের এক ফেক সদস্য বলেন, ‘বিশ্ব মঞ্চে হকি দলকে আরও বেশি করে পরিচয় করিয়ে দিতেই এই সিদ্ধান্ত। পোজ দেখেই মনে হয়েছে, তারা হকি ভালো খেলবেন। তাছাড়া রাজপথেও দীর্ঘদিন ধরে তারা সাফল্যের ছাপ রেখে যাচ্ছেন।‘
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় দলের স্কাউটিং প্যানেলের এক সদস্য জানান, ‘আমরা বহুদিন ধরেই এমন কিছু প্রতিভা খুজছিলাম, যারা নিজের জানের পরোয়া না করে দেশের জন্য লড়ে। কোনোরকম চিন্তা ছাড়াই তারা নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে যায়। এমন ত্যাগী খেলোয়ারই আমাদের দরকার। এছাড়া নেতাদের পেছনে তারা যে কঠোর অধ্যবসায় নিয়ে লেগে থাকে এমন অধ্যবসায়ী খেলোয়ার আমাদের জাতীয় দলে যুক্ত হলে অন্যন্য খেলোয়ারদের মোরালিটিও বেড়ে যাবে।তাছাড়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের স্লেজিং করার যে ক্ষমতা তা বিপক্ষ দলের খেলোয়ারদের মানসিক ভাবে ধ্বংস করে দিতে পারে।‘
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হকি দলে অন্তর্ভূক্তির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণও উল্লেখ করেন অন্য এক সদস্য। নিজের ফেক আইডি থেকে তিনি বলেন, ‘ওনাদেরকে নিলে দুইটা সুবিধা, হকি বল দিয়েও গোল করবে, বিপক্ষ দলের প্লেয়ারকে দিয়েও গোল করবে। এক ঢিকে দুই পাখি।‘
এ প্রসঙ্গে ছাত্রলীগের এক নেতা জানান, ‘জাতীয় হকি দলে ডাক পাওয়ার খবরটি আমরা পেয়েছি। এটি আমাদের জন্য আনন্দের সংবাদ যে আমাদের শ্রমকে নানা আঙ্গিকে স্বীকার করে নেয়া হচ্ছে। তবে খবরটি জানাজানি হওয়ার পর এক ধরনের থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে সংগঠনের ভেতর। আমরা দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় সংগঠন অথচ হকি দলের স্কোয়াড মাত্র এগারো জনের। ফলে আমাদের মধ্যে কারা কারা মনোনীত হবে তা নিয়ে এক ধরনের বিরোধ তৈরী হচ্ছে। সারাদেশ থেকে নেতা এবং কর্মীদের কল আসছে প্রতিনিয়ত। সবাই দলে জায়গা পাওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে।‘