জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবী, গত বৃহস্পতিবার ভোরে হঠাৎ করেই মেঘের আড়ালে ভেসে ওঠে কাঞ্চনজঙ্ঘার চুড়া। শীত পুরোপুরি না আসতেই এসে পড়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘার ছায়া। পুরো ক্যাম্পাসে আলোড়ন তৈরী হয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই সারাদেশ থেকে মানুষজন প্রস্তুতি নিচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর যাওয়ার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এই ট্রান্সপোর্ট জায়গাটার একটা ব্যাপার আছে। এই জায়গায় বসে শুধু কাঞ্চনজঙ্ঘা না, চাইলে এভারেস্টও দেখা যায়। খালি দেখার চোখ আর ইচ্ছা থাকতে হয়। আমরা প্রতিদিন রাতেই এখানে বসি। নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলাপ আলোচনা করি পাশাপাশি মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করি।
কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাওয়ার ব্যাপারটি কতটুকু সত্য জিজ্ঞেস করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞানের শিক্ষক জনাব জয়েনুল সাধু জানান, ‘ঘটনাটি কিছু শিক্ষার্থীরাই প্রথম আবিষ্কার করেছেন। আমার যদিও আমরা পরে গিয়ে আর পাইনি। তবে এতজন শিক্ষার্থী একসাথে যেহেতু দেখেছে তবে নিশ্চয়ই সত্যি হবে। আমরা অপেক্ষা করছি এটি পুনরায় আবির্ভুত হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, ‘আমরা এ ব্যাপারে অবগত আছি। মাননীয় ভিসি মহোদয়ের নির্দেশে একটি কমিটি তৈরী হয়েছে ট্রান্সপোর্ট থেকে স্টুডেন্ট বাসগুলো সরিয়ে এই জায়গাটিকে একটি ট্যুরিস্ট স্পট বানানো যায় কিনা এ ব্যাপারে। আমরা আশাবাদী এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা আমাদের সহায়তা করবে।‘
এদিকে ট্রান্সপোর্টের জায়গাটিকে নিজেদের দাবী করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, ‘ট্রান্সপোর্ট জায়গাটি তুলনামুলক গরম। শীতের রাতে সিনিয়ররা রুম থেকে বের করে দিলে আমরা ট্রান্সপোর্টে আসি। কিন্তু এ জায়গায় প্রবেশ সীমিত করে দিলে আমরা কোথায় যাবো?’