দিনে অন্তত এক বার আপেল খেলেও ডাক্তারের কাছে যেতে হয় না, এই কথায় যারা পূর্ণ আস্থা রাখেন তাদের জন্য, অর্থাৎ আপেলপ্রেমীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন আজ। আজ ২১ অক্টোবর। বিশ্ব আপেল দিবস। দিনটিকে মহাসমারোহে পালন করার প্রস্তুতি চলছে আপেলপ্রেমীদের মধ্যে। তবে এর উলটো চিত্রও দেখা যাচ্ছে। দিবসটি পালন না করার জন্য রাজধানীর শাহবাগে মানববন্ধন এর ডাক দিয়েছে ডাক্তারদের সংগঠন 'আপেলবিরোধী চিকিৎসক ঐক্য'।
এ ব্যাপারে আপেলবিরোধী চিকিৎসক ঐক্যের আহ্বায়ক ডাক্তার মোহাম্মদ সাহেদ(রিজেন্ট) বলেন, এই দিনটি পালন করার মধ্য দিয়ে চিকিৎসকদের হেয় জ্ঞান করা হয়। প্রতিদিন আপেল খেয়ে খেয়ে মানুষ যদি সুস্থই থাকে তাহলে আর চিকিৎসকদের প্রয়োজনটা কী? তারপর যদি আবার এটি দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করে তাহলে তো মানুষ আর অসুস্থই হবে না। চিকিৎসকদেরও তো খেয়ে পরে বাঁচতে হয়। কেউ যদি ডাক্তারদের কাছে না আসে, ডাক্তারেরা কী করে খাবে? এত এত টাকা খরচ করে একটা সার্টিফিকেট নিয়েছে। এখন যদি তাদের রোগীদের কাছ থেকে দূরে থাকতে হয় তাহলে বাসায় মুখ দেখাবে কেমন করে? অথচ দেখেন এই রোগীদের জন্য একজন চিকিৎসক কী পরিশ্রম করেন। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে রোগীকে সুস্থ করে তোলেন।
দেশের আরেক প্রখ্যাত চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরী মানববন্ধনে তার বক্তৃতায় বলেন, ‘ডাক্তাররা যদি ক্লায়েন্ট (মক্কেল) না পায় আই মিন, রোগী না পায় তাহলে তো তারা অপরাধের দুনিয়ায় চলে যাবে। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে মানুষকে ঠকাবে। তখন কি বিষয়টি ভালো দেখাবে, আপনারাই বলেন? আমরা জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখে যেতে চাই। আপনারাই ঠান্ডা মাথায় ভেবে সিদ্ধান্ত নিবেন। এই যে আজকে আপেল দিবস, এই দিবস কি পালন করা উচিৎ? জনগণ যে আপেল খেলে এত এত শিক্ষিত ডাক্তার না খেয়ে থাকে, অপরাধের দুনিয়ায় চলে যায়, সেই আপেল কি মানুষের খাওয়া উচিৎ?’
মানববন্ধনের বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে 'আপেলের প্রতি ভালোবাসা' নামক বেসরকারী সংগঠনের এক স্বেচ্ছাসেবক মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, ‘সুস্থতা মানুষের জন্য খুবই দরকারী। কথায় আছে ,রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। মানুষ নানা সময় অসুস্থতার জন্য চাইলেও অনেক কিছু করতে পারে না। এজন্যই আমাদের সবার উচিৎ বিপদ হওয়ার আগে থেকেই আপেল খাওয়া শুরু করা। আর এজন্যই আপেল দিবস। আর ডাক্তার ভাইদেরকে বলবো, এই পেশা ছেড়ে দিয়ে আপনারা রাজনীতি শুরু করেন। কারণ বর্তমানে মেধাহীনরা পার্লামেন্টেও যাচ্ছে। আপনারা যদি ডাক্তারি পেশা ছেড়ে রাজনীতি করেন তাহলেও পার্লামেন্টে দুই তিনজন শিক্ষিত লোক বাড়বে।’