নির্বাচনী প্রচারণায় চিত্রনায়ক ফেরদৌসকে পাশে চায় মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প

২২৮৯৩ পঠিত ... ০০:২৪, এপ্রিল ১৭, ২০১৯

রাজধানী ঢাকায় বাজছে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দামামা। দুই সিটি কর্পোরেশনই কাঁপছে নির্বাচন জ্বরে। আর এই হঠাৎ নির্বাচনী জ্বরে বরাবরের মতই আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে দেখা যায় তাকে। এর আগে গত বছর এপ্রিলে ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেন ফেরদৌস।

সেবার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূলের প্রার্থী কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন ফেরদৌস। ঘটনায় তীব্র আপত্তি ও নিন্দা জানানো হয় ক্ষমতাসীন দল বিজেপির পক্ষ থেকে। বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে বিদেশের কোন নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ায় তারা তীব্র প্রতিবাদ জানায়। ফলস্বরূপ ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাতিল করে তার ভিসা। পাশাপাশি তাকে কালো তালিকাভুক্ত ঘোষণা করে দেশ ত্যাগের নির্দেশও দেয়া হয়। 

তারও আগে বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনেও তাকে প্রচারণার কাজে দেখা যায় মাঝে। পশ্চিম বাংলার টলিউডে তার যথেষ্ঠ জনপ্রিয়তা থাকার কারণে সেখানেও তিনি এই প্রচারণায় নেমেছিলেন বলেই জানা যায়। তবে ভিসা বাতিল ও অন্যান্য জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে আপাতত তাকে দেখা যাবে না ভারতের নির্বাচনের মাঠে। কিন্তু একটি গোপন অবাস্তব সূত্র থেকে জানা গেছে, ভারত থেকে ফিরে এলেও হাতে অবসর সময় পাবেন না ফেরদৌস। সামনের যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় ডাকার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে হোয়াইট হাউজে। 

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একদম কাছের এক মানুষের কাছ থেকে পাওয়া অবিশ্বস্ত তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারি, রাশিয়া বিতর্ক, স্টর্মি ড্যানিয়েলস কেলেঙ্কারি, মেক্সিকোর দেয়াল ইত্যাদি নানাবিধ ঝামেলায় নির্বাচন নিয়ে কিছুটা হতাশার মধ্যেই চলে গেছেন তিনি। নিজ দেশের বিনোদনের ইন্ডাস্ট্রি হলিউডের প্রায় সব তারকাই তার বিরুদ্ধেই লেগে আছে শুরু থেকে। জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনতে কী করা যেতে পারে, তাই ভাবছিলেন বেশ কিছুদিন ধরে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনে তারকাদের একনিষ্ঠ প্রচারণা দেখে তিনিও বাংলাদেশ থেকে সেলিব্রিটি আমদানি করার কথা ভাবতে শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সিনেমার তারকা ফেরদৌস যখন দেশের নির্বাচন শেষ করে বিদেশ ভারতেও প্রচারণার মাঠে নামেন, তখন তিনি ঠিক করেন, তাকেই দরকার ট্রাম্প সরকারের! 

ট্রাম্পের কাছে সরাসরি এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি একটি ফেক টুইটার একাউন্ট থেকে টুইট করেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের নির্বাচনে নায়ক ফেরদৌসের নির্বাচনী প্রচারণা পারফর্মেন্সে আমি মুগ্ধ। আমার চাই “হঠাৎ বৃষ্টি”র মতো এত এত ভোট। আমি সীমানা, জাতীয়তা এসব ব্যাপারে একটু সেনসিটিভ হলেও, নির্বাচনের সময় এসব বিষয়ে এতটা মাথা ঘামাই না। আমার বানানো মেক্সিকোর দেয়ালে তার জন্য সবসময়ই এক চিলতে ফাঁকা যায়গা থাকবে কথা দিচ্ছি। ভারত তাকে চায়না, তবে আমাদের সীমানা তার জন্য সবসময়ই খোলা থাকবে।’ 

এ ব্যাপারে ফেরদৌসের সাথে কথা বলতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর তার একটি কাল্পনিক সাক্ষাৎকার নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় eআরকি নির্বাচন বিশ্লেষকেরা। সেখানে তিনি আমাদের বলেন, ‘ভারত থেকে কিছু জটিলতার কারণে ভেবেছিলাম আর প্রচারণায় নামবো না। কিন্তু আতিক ভাইয়ের অনুরোধ ফেলতে পারিনি। আর এখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমার সাথে যোগাযোগ করেছেন তার হয়ে প্রচারণা করার জন্য। আমি এ ব্যাপারে ভেবে দেখছি। ঢালিউড, টলিউডে ছবি করে কিছুটা খ্যাতি পেয়েছি বলেই বাংলাদেশ আর ভারতে প্রচারণায় নামতে পেরেছি। কিন্তু হলিউডে এখনো কিছু করি নি, তাই কি পরিচয়ে প্রচারণা চালাবো বুঝতে পারছিলাম না। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আশ্বাস দিয়েছেন, পরবর্তী জেমস বন্ড হিসেবে হলিউডে আমার পদার্পনের ব্যবস্থা করবেন তিনি। এরপর তো আর তাকে আমি মানা করতে পারি না!’ 

এ পর্যায়ে হঠাৎ বৃষ্টি নামলে কাল্পনিক সাক্ষাৎকার হঠাৎ শেষ করে দেন তিনি।

 

আরও পড়ুন-

২২৮৯৩ পঠিত ... ০০:২৪, এপ্রিল ১৭, ২০১৯

Top