বিশ্ব রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ কাকে ঘিরে এগোচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনা থামছেই না। একদিকে কমলা হ্যারিস, অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প। শেষ পর্যন্ত কে হোয়াইট হাউজের আসনে বসবেন, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে চূড়ান্ত নির্বাচনী ফলাফল পর্যন্ত।
ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সাবেক পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন নির্বাচনের গতি প্রকৃতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। যখন বিশ্বের কেউই সঠিকভাবে বলতে পারছেন না হোয়াইট হাউজে শেষ পর্যন্ত কে যাবেন, তখন তিনি জানিয়েছেন—হোয়াইট হাউজে যাওয়ার একমাত্র অধিকার তারই।
এ বিষয়ে তার একমাত্র পুত্র সজীব ওয়াজেদ তার একটি ফেইক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিও বার্তায় বলেন, আমার মা টানা তিনবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে। কমলা হ্যারিস যেখানে একাই আগাম ভোট দিয়ে হোয়াইট হাউজে যাবার স্বপ্ন দেখছেন, সেখানে আমার মা নির্বাচনের সময় পুরো দলসহ আগাম ভোট দিয়ে আসতেন। নির্বাচনী কৌশল বিবেচনায় নিলে সকলেই স্বীকার করবেন—হোয়াইট হাউজে যাওয়ার একমাত্র যোগ্য ব্যক্তি আমার মা।
শেখ হাসিনার হোয়াইট হাউজে প্রবেশের যোগ্যতা নিয়ে যখন কারও কোনো সন্দেহ নেই, তখন ট্রাম্প বা কমলা হ্যারিস কেউই বুঝতে পারছেন না কেন তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। ট্রাম্পের এক ব্যক্তিগত সহকারী eআরকির আমেরিকান প্রতিনিধি দলের কাছে জানান, নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করেই ট্রাম্প শেখ হাসিনাকে ভিডিও কলে নির্বাচনের অগ্রগতি জানাতে এবং নিয়মিত রাজনৈতিক পরামর্শ নিতে দেখা যায়।
অন্যদিকে, জানা গেছে কমলা হ্যারিসও শেখ হাসিনার পরামর্শেই প্রথমবারের মতো আগাম ভোট দিয়েছেন। তার দলের অন্য সদস্যদের মধ্যে এমন সাহস কেউ দেখাননি, তাই তারাও আগাম ভোটে অংশ নেননি। কমলার এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, প্রেসিডেন্ট যেই হোন, ক্ষমতার নেপথ্যে শেখ হাসিনাই থাকবেন। হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প বা কমলার প্রবেশ তাই অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, আসল ব্যাপার হলো কখন শেখ হাসিনা প্রবেশ করছেন।