কথায় আছে টাকায় বাঘের দুধও মেলে। কিন্তু এখানে ব্যাপারটা হচ্ছে, চাকুরি পেতে হলে যে ক্ষেত্রবিশেষে টাকা লাগে শুধু তাই না, চাকুরির ময়দানে নিজের যোগ্যতাও প্রমাণ করতে হবে। আর সেই যোগ্যতা প্রকাশের একটা মাধ্যম হলো সার্টিফিকেট! টাকায় বাঘের দুধ মিললেও, সার্টিফিকেট পাওয়া দুষ্কর! এবং এই সমস্যার সমাধান নিয়ে এলো বাংলাদেশের জনকল্যাণে নিয়োজিত কতিপয় কিছু উদ্যোক্তা।
সম্প্রতি একটি অচেনা নাম্বার থেকে হঠাৎ একটি ম্যাসেজ আসে, যার সারমর্ম এমন- কারো যদি কোন ধরনের সার্টিফিকেট লাগে, তা সে যা কিছুর সার্টিফিকেটই হোক না কেনো, এসএসসি এইচএসসি থেকে শুরু করে ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ, এমবিবিএস, কোন সমস্যাই না। সব ধরনের পরীক্ষার সার্টিফিকেট তারা টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে দিতে পারবেন।
ঘটনা শুনে আমাদের আগ্রহ হলে, ট্রু কলারে আমরা ০১৯০৩৮৮৯৯৫৫ ফোন নাম্বারটি সার্চ দিলে দেখতে পাই, সেখানে নাম্বারটি ‘এক্সাম’ নামে সেভ করা। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানার জন্যে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে ফোনে কাউকে পাওয়া যায় না। তবে বিশ্বস্ত একটি সূত্র থেকে তাদেরই এক সহযোগী জানান, ‘দেখেন ভাই, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাটা এমন যে ছোটবেলা থেকে আমাদের মাঝে পরীক্ষাভীতি ঢুকিয়ে দেয়া হয়। বাচ্চারা পরীক্ষা দিতে ভয় পায়। তাদের এই পরীক্ষাভীতি দূর করার জন্যেই আমরা আমাদের সংস্থার নাম দিয়েছি "এক্সাম।" দেখেন এক্সাম দিয়ে আপনি কী পান? সার্টিফিকেট পান! আর আমরাও এক্সাম থেকে সার্টিফিকেট দিচ্ছি! এতে করে যেমন বাচ্চাদের পরীক্ষাভীতি দূর হচ্ছে, তেমনি তারা সার্টিফিকেটও পাচ্ছে!’
এই সার্ভিসকে উচ্ছ্বাসিত প্রশংসা জানিয়েছেন বেশ কিছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রতিবার পরীক্ষার সময় আমি আর আব্বু-আম্মু টেনশনে পড়ি। এতগুলো পরীক্ষার এতগুলো প্রশ্ন কখন ফাঁস হবে, কীভাবে যোগাড় করবো- এ স্ট্রেস নিতে নিতে একদম বিরক্ত। এর চেয়ে একেবারে সার্টিফিকেটটা পেয়ে গেলে তো কোন কথাই নেই! এই নতুন সার্ভিসটি সম্পর্কে জানতে পেরে আমি আর আব্বু-আম্মু অনেক খুশি! আশা করি সামনে ওরা একটি অ্যাপ বের করবে, যাতে সার্টিফিকেট পাওয়া আরো সহজ হয়।’
ধারণা করা হচ্ছে, নতুন এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা বাদ দিয়ে নানান কো-কারিকুলার কাজে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করবে। একই সাথে তরুণ উদ্যোক্তাদের মাঝেও এই নতুন উদ্যোগ খুব জনপ্রিয় হবে বলে ধারণা অনেক বিশেষজ্ঞের।