ঢাকা যেন ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির ওপরে বসে আছে। ৩০ তারিখের পর যেকোনো সময় ভয়ংকর আক্রমণ হতে পারে, এমনই এক রোমহর্ষক পূর্বাভাস দিলেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন। সম্প্রতি ৩০ মিনিটের একটি ভিডিওতে, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গোপন সূত্রের ইন্টেল বিশ্লেষণ করে ইলিয়াস জানিয়েছেন, একটি সশস্ত্র গেরিলা হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যার লক্ষ্য রাজধানী ঢাকা।
ইলিয়াস তার ফেক ফেসবুক একাউন্টে স্টেটাসে জানিয়েছেন, এটা নিছক সতর্কবার্তা নয়। পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। দেশের জনগণকে সচেতন ও প্রস্তুত থাকতে হবে। যে কোনো সময় যে কোনো কিছু হয়ে গেলে আমাদের করার কিছুই থাকবে না। ইলিয়াসের এই বক্তব্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়লেও ভরসার জায়গা ঠিকই আছে।
এদিকে, ঢাকার নাগরিকদের মনে নতুন আশা জাগিয়েছেন তারকা অভিনেতা আরিফিন শুভ। ঢাকায় এই গেরিলা আক্রমণের কথা শুনে তিনি জানিয়েছেন, আমি এর আগেও ঢাকাকে বাঁচিয়েছি, এবারো বাঁচাব। সিনেমার মতো বাস্তবেও জীবন বাজি রেখে লড়তে প্রস্তুত। দেশের জন্য আমার সিনেমার পারিশ্রমিক ত্যাগ করতেও দ্বিধা নেই। সবাই নিশ্চিন্তে থাকুন, ঢাকা আক্রমণ হলেও আমি আছি।
আরিফিন শুভ এই মুহূর্তে নিজেকে প্রস্তুত করছেন। ঢাকার একটি জিমে আমাদের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বললেন, আমার শরীরে কোনো রক্ত নাই, আমার শিরায় শিরায় সাহস চলাফেরা করে। আমার হার্টবিট শুনলে আপনি ধুক ধুক না শুনে এটাক এটাক শুনবেন। ঢাকা অ্যাটাক আমার ক্যারিয়ারের অংশ, এবার বাস্তবে ঢাকা রক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি। পুশ-আপ দিতে দিতে হাসিমুখে তিনি প্রতিজ্ঞা করেন, ঝুঁকি যত বড়ই হোক, ঢাকাকে রক্ষা করব।
সব বিবেচনায় ঢাকা যেন এখন সত্যিকারের অ্যাকশন মুভির শুটিং সেট! একদিকে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন, যিনি নিজেকে গোপন ইন্টেলের মাস্টারমাইন্ড বলে দাবি করছেন, অন্যদিকে আরিফিন শুভ, ঢাকার সুপারম্যান হয়ে হাজির। ঘটনাটা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, মনে হচ্ছে ঢাকার রাজপথে শীঘ্রই দেখা যাবে ‘ঢাকা অ্যাটাক ২: দ্য রিটার্ন অফ শুভ’।
এমনকি, মহল্লার ছেলেরা এখন শুভর মতো বডি বানানোর জন্য জিমে ভিড় করছে। এক তরুণ তো বলেই ফেলল, ভাই, ঢাকার জন্য আমরাও তৈরি। শুভ ভাই ডাকলেই ছুটে যাব।
এদিকে, ইলিয়াসের গোপন ইন্টেল আর শুভর পুশ-আপ-অ্যাকশন একসাথে মিলিয়ে পরিস্থিতি এতটাই থ্রিলিং হয়ে গেছে যে, হলিউডের স্ক্রিপ্ট রাইটাররা নতুন গল্প খুঁজতে ঢাকায় আসার টিকেট কাটছেন বলে খোঁজ এসেছে আমাদের কাছে।