রতন টাটার বাবা ও আমাদের আপন জুয়েলার্সের বাবাদের মধ্যে যে পার্থক্য

৪৫৮০১ পঠিত ... ০৪:০৮, মে ১৪, ২০১৭

এক দুপুরে রতন টাটা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। গাড়িতে বসা অবস্থায় পাশে তাকিয়ে দেখলেন, একটা মটরসাইকেলে করে এক ভদ্রলোক তার স্ত্রী আর তিন বাচ্চাসহ কড়া রোদে কষ্টেসৃষ্টে বসা। বাচ্চাদের সামলাতে তার হিমশিম খাওয়ার মতো অবস্থা। এই দৃশ্য দেখে রতন টাটার মন খুব খারাপ হলো। তিনি ভাবলেন, পাঁচ সিটারের একটা ছোট গাড়ি বানানো যায় কিনা, যার দাম হবে মটরসাইকেলেরই কাছাকাছি। এই আইডিয়া থেকে জন্ম নিলো ন্যানো টাটা ন্যানো ব্র্যান্ডের গাড়ি।পৃথিবীর সবচেয়ে সহজলভ্য ও সস্তা গাড়ি।

এই রতন টাটার যখন গ্রাজুয়েশন শেষ হয়েছিল, তাঁর বাবা নাভাল টাটা তাঁকে পাঠিয়ে দিয়েছিলন টাটা কোম্পানির কলকাতার এক ছোট অফিসে। পিয়নের কাজ শেখার জন্য। ছয় মাস ধরে তিনি পিয়ন হিসেবে কাজ করলেন, ছয় মাস পর তাঁর প্রমোশন হলো পরের পোস্টে।

বিদেশী একটা কোম্পানি যে থার্ড জেনারেশন, ফোর্থ, ফিফথ, এমনকি সিক্সথ, সেভেনথ জেনারেশন ধরে নিজের সাফল্য ধরে রেখে আগে বাড়ে তার পেছনে কারন থাকে। এমনি এমনি হয় না। সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা, কোম্পানির জন্য প্রস্তুত করে তোলাও বাবা-মায়ের দায়িত্ব।

আমাদের দেশে সেকেন্ড জেনারেশনে এসেই নামীদামী কোম্পানি মুখ থুবড়ে পরে থাকে। এর পেছনে দায়ী আচমকা হাতে পয়সা চলে আসা বাবা-মায়ের তাদের ছেলে-মেয়েদের প্রতি অতিরিক্ত আল্লাদ। ছেলে এসএসসি পরীক্ষায় খারাপ করেছে, পড়ালেখা বাদ দিয়ে কোম্পানির ডাইরেক্টর পদে বসিয়ে দেয়। ছেলে ব্যবসা বড়ো করবে কি, তার মানসিক আর মানবিক বিকাশই তো হয়নি তখনো ঠিকমতো। জীবনে পরিশ্রম করার আগে পেয়ে গেছে সব।

সোনার চামচ মুখে নিয়ে কেউ জন্মাতেই পারে, তবে সময় থাকতে সেই সোনার চামচ কেড়ে নেওয়াটা শিখতে হয়। তা না হলে অবস্থা দাঁড়ায় আপন জুয়েলার্সের মতো।

৪৫৮০১ পঠিত ... ০৪:০৮, মে ১৪, ২০১৭

আরও eআরকি

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

কৌতুক

রম্য

সঙবাদ

স্যাটায়ার


Top