হয়তো কারও মায়ের প্রিয় মুখটি মনে পড়েছিল। হয়তো কারও পরেরদিন মায়ের আঁচল তলে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
হয়তো কারও জন্য গ্রামে কোনো সহজ-সরল মেয়ের অপেক্ষার উচ্ছ্বাস ছিল। হয়তো কারও জন্য পুকুরের মাছগুলো সযত্নে বড় করা হচ্ছিল।
হয়তো কারও ধূসর পাঞ্জাবি পরে কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে স্বরচিত কবিতা নিয়ে ঘোরার কথা ছিল। হয়তো কেউ প্রিয়ার জন্য বাসন্তী রঙ শাড়ি কিনেছিল।
হয়তো কেউ গানের কথায় পৃথিবী বদলানোর শপথ নিয়েছিল। হয়তো কেউ বিজ্ঞানের জয়যাত্রার অগ্রদূত হতে চেয়েছিল।
হয়তো কারও টিউশনির টাকা পেয়ে বাবার জন্য ভালো একটা শার্ট কেনার কথা ছিল। হয়তো কারও দুচোখ ভরা জল ছিল। হয়তো কারও জল শুকিয়েছিল।
হয়তো কেউ জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিল। হয়তো কেউ পরেরদিন রাঙা ভোর দেখতে চেয়েছিল।
হয়তো কারও সদ্য প্রেমিকা হওয়া মেয়েটিকে নিয়ে অস্থিরতা ছিল। হয়তো কারও কারও হৃদয় আরেকটি হৃদয়ের সাথে মিলনের অপেক্ষায় ছিল।
সব 'হয়তো' রয়ে গেছে। মানুষগুলো চলে গেছে। ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর সব 'হয়তো' মুছে গেছে চিরতরে।
শোকাবহ দিনটিকে স্মরণ করতে প্রতিবছর ১৫ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস পালিত হয়। এ দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের ছাদ ধ্বসে মারা যায় ৩৯ জন ছাত্র, কর্মচারী ও অতিথি। এরপর ওই দুর্ঘটনায় নিহতদের সম্মানে জগন্নাথ হলে অক্টোবর স্মৃতি ভবন নামে একটি ভবন নির্মিত হয়। মরণসাগরপাড়ে তোমরা অমর। তোমাদের স্মরি।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন