ফিলিস্তিন মধ্যপ্রচ্যের ছোট একটি ভূখণ্ড। আয়তনের দিক থেকে ছোট হলেও নানা কারণে এর গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে বিভিন্ন সময় এই অঞ্চলটিকে ঘিরে গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসের জন্ম হয়েছে। ধারাবাহিক রাজনৈতিক সংঘাত, হানাহানি, ভূমি দখল যেন ফিলিস্তিনের নিয়তি। বিশ্বের মূল ধর্মগুলোর (আব্রাহামিক রিলিজন্স) পবিত্র স্থান, এশিয়া-আফ্রিকার মধ্যবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত ভৌগোলিক সুবিধা এসব হানাহানি পেছনের মূল প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। বর্তমানে যেসব আরব জনগণ ফিলিস্তিনকে নিজেদের ভূমি বলে দাবি করেন, তাদেরকে ফিলিস্তিনি বলা হয় এবং ফিলিস্তিনিরা দীর্ঘদিন ধরে এই ভূখণ্ডটিতে নিজেদের স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে লিপ্ত।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের ইতিহাস অত্যন্ত জটিল ও লম্বা। কিন্তু কীভাবে এই সংঘাত শুরু হয়ে আজকের পর্যায় পর্যন্ত এলো, তার একটা সহজবোধ্য ও সংক্ষিপ্ত টাইমলাইন এখানে বর্ণনা করা হলো।
১# প্রাচীন গ্রীক লেখকেরা ভূমধ্যসাগর এবং জর্ডান নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলটিকে ‘Philistia’ নামে ডাকতেন। এই ‘Philistia’ শব্দটি থেকে Palestine শব্দের উৎপত্তি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর ভূমধ্যসাগর এবং জর্ডান নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলটি ফিলিস্তিন নামে পরিচিতি পায়। বিংশ শতকের গোড়ার দিক থেকে যেসব আরব জনগণ এই অঞ্চলটিকে নিজেদের ভূমি দাবি করে সেখানে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন, তারা ফিলিস্তিনি হিসেবে পরিচিত। এই ভূখন্ডের অধিকাংশই অবশ্য এখন ইসরায়েলের দখলে। বর্তমানে আপাতদৃষ্টিতে পশ্চিম তীর (বর্তমান ইসরায়েলে এবং জর্ডানের মাঝখানে অবস্থিত), গাজা স্ট্রিপ (বর্তমান ইসরায়েল এবং মিসরের মাঝখানে অবস্থিত) ফিলিস্তিনের অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করা হয়, কিন্তু এসব জায়গার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে তীব্র জটিলটা রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের অনেক ভূমি দখল করে যাচ্ছে,আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যাকে ‘অবৈধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। জাতিসংঘের ১৩৫টি সদস্য দেশ ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও কিছু দেশ ফিলিস্তিনকে এই স্বীকৃতি দেয়নি।
২# ইতিহাসের বিভিন্ন সময় বিশ্বের বিভিন্ন শাসকগোষ্ঠী ফিলিস্তিন শাসন করেছে। যেমন- ব্যবিলনিয়ান, পার্সিয়ান, গ্রীক, রোমান, আরব, তুর্কি, ক্রুসেডার এবং মিসর বিভিন্ন সময় ফিলিস্তিনকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। ১৫১৭ সাল থেকে ১৯১৭ সাল পর্যন্ত অটোমান সাম্রাজ্য এই অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশ শাসন করেছে। ১৯১৮ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে অটোমানরা হেরে যাওয়ার পর ব্রিটিশরা ফিলিস্তিনের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, যখন সারা বিশ্বে নাৎসি বাহিনীর ইহুদী হত্যা বা হলোকাস্ট নিয়ে চলছে গভীর নিন্দা, সেসময় ইহুদীদের জায়োনিস্ট মুভমেন্ট জেগে ওঠে। জায়োনিস্ট বিশ্বাস অনুযায়ী, জেরুজালেম সংশ্লিষ্ট এলাকায় (যা ইহুদিদের প্রাচীন ভূমি) একটি ইহুদী রাষ্ট্র গঠন করা ইহুদী সম্প্রদায়ের নিয়তি। নাজি বাহিনীর দ্বারা লাখ লাখ নির্যাতিত ইহুদিদের পুনর্বাসনের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায় ব্রিটেনকে ফিলিস্তিনি ভূমিতে একটি ইহুদি রাষ্ট্র গঠনের দায়িত্ব দেয়।
৩# প্রায় দুই দশকের ব্রিটিশ শাসনের পর জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে দুই ভাগ করার একটি প্রস্তাব দেয়- এক ভাগ হবে স্বাধীন ইহুদী রাষ্ট্র, আরেক ভাগ হবে স্বাধীন আরব রাষ্ট্র। আর জেরুজালেম, যেটি ইহুদী এবং আরব উভয়ই নিজেদের রাজধানী হিসেবে দাবি করে, হবে একটি আন্তর্জাতিক শহর এবং এই শহরের আলাদা স্বীকৃতি ও নিয়ম থাকবে। ইহুদী নেতারা এই প্রস্তাব মেনে নিলেও আরব নেতারা এটি মানতে অস্বীকৃতি জানান। আরবরা তারও আগে থেকে সেখানকার শাসক গোষ্ঠী ব্রিটিশ এবং সেখানে বাস করতে আসা ইহুদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িত ছিল। আরবরা দাবি করে ওই অঞ্চলে বেশিরভাগ জনগণ তাদের এবং তারা আরও বেশি ভূমি প্রাপ্য। কিন্তু তাদের সেই দাবি অগ্রহ্য হয় এবং আরবরা পুরো ফিলিস্তিনজুড়ে ভলিন্টিয়ার আর্মি তৈরি করতে থাকে।
৪# জাতিসংঘের প্রস্তাবের এক বছর পর ১৯৪৮ সালের মে মাসে ব্রিটিশরা ফিলিস্তিন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় এবং ইসরায়েল নিজেদেরকে স্বাধীন দেশ হিসেবে ঘোষণা দেয়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশি পাঁচটি দেশ- জর্ডান, ইরাক, সিরিয়া, মিসর ও লেবানন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ১৯৪৯ সালের জুলাই মাসে এই যুদ্ধ যখন শেষ হয়, তখন ইসরায়েল জাতিসংঘ প্রস্তাবিত ভূমির চেয়েও দুই-তৃতীয়াংশ বেশি ভূমি দখল করে নেয়। জর্ডান তখন পশ্চিম তীর দখল করে নেয়। ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধকে ফিলিস্তিনিদের জীবনে বিপর্যয়ের সূত্রপাত হিসেবে দেখা হয়।
৫# ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার সংকল্প হিসেবে এবং ব্রিটিশ ম্যানডেটের বাইরে ইসরায়েল কর্তৃক দখলকৃত ভূমি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ১৯৬৪ সালে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশন বা পিএলও এর জন্ম। পিএলও’র প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলকে হটিয়ে ফিলিস্তিনি ভূমিতে স্বাধীন আরব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু ১৯৯৩ সালের ওসলো অ্যাকর্ডে ইসরায়েলের অস্তিত্ব স্বীকার করে নেয় পিএলও, বিনিময়ে ইসরায়েলও পিএলওকে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৬৯ সালে ইয়াসির আরাফাত পিএলও’র চেয়ারম্যান হন এবং ২০০৪ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সেই পদে ছিলেন।
৬# ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতকে আরও বিপর্যস্ত ও নৃশংস করেছে ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ, যেটি ‘সিক্স ডে ওয়ার’ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধ আরও ভয়াবহ আকার নেয় যখন ইসরায়েল এবং সিরিয়া স্থল ও আকাশযুদ্ধে আরও সক্রিয় হয় এবং সিরিয়ার ৬টি যুদ্ধবিমান ইসরায়েলিরা ধংস করে দেয়। এপ্রিলের দিকে এসে সোভিয়েত ইউনিয়ন মিসরকে মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স দিয়ে মহায়তা করে। সোভিয়েত ইউনিয়ন মিসরকে জানায়, ইসরায়েলের স্থলবাহিনী দেশটির উত্তর সীমান্তে (সিরিয়া সীমান্ত) অগ্রসর হচ্ছে। এ খবর পেয়ে মিসরের প্রেসিডেন্ট গামাল আবদুল নাসের তার সেনাবাহিনীকে সিনাই পেনিনসুলায় পাঠান। সেখানে এক দশকের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের সাথে সীমান্ত পাহারায় নিয়োজিত জাতিসংঘ বাহিনীকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন তিনি। জুনের ৫ তারিখ ইসরায়েলের বিমান বাহিনী মিসরের বিরুদ্ধে আগ্রাসী বিমান হামলা চালায়। এ হামলায় মিসরের বিমানবাহিনীর প্রায় অর্ধেক বিমান ধংসপ্রাপ্ত হয় (কোথাও কোথাও উল্লেখ আছে আরও কম)। ১৯৬৭ সালের এই ৬ দিনব্যাপী যুদ্ধ ইসরায়েলের জন্য এক বিশাল অর্জন হিসেবে আবির্ভূত হয়। এই যুদ্ধের পরই গাজা স্ট্রিপ, পশ্চীম তীর, গোলান হাইটসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ইসরায়েল। এ যুদ্ধে আরবদের পরাজয় ফিলিস্তিনিদের জীবনে আরও বিপর্যয় ডেকে আনে।
৭# ইসরায়েলি দখলদারিত্ব ও শাসন-শোষন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভে ফুসতে থাকা ফিলিস্তিনিদের প্রথম গণজাগরণ ঘটে ১৯৮৭ সালে, যেটি ‘প্রথম ইন্তিফাদা’ নামে পরিচিত। ইসরায়েলি মিলিটারি ট্রাকের সাথে একটি বেসামরিক গাড়ির ধাক্কায় চারজন ফিলিস্তিনির নিহত হওয়ার পর ক্ষুদ্ধ ফিলিস্তিনিরা রাস্তায় নেমে আসে এবং ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে ব্যপক সংঘর্ষ হয়। সেটিই প্রথম ইন্তিফাদা নামে পরিচিত। ফিলিস্তিনিরা সেবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি উপায়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ জানায়। ইসরায়েলি সেটেলমেন্টে কাজ করা, তাদেরকে ট্যাক্স দেওয়া এবং ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বয়কট করার ছিল তাদের অন্যতম। ইসরায়েলি গুলির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের একমাত্র অস্ত্র ছিল পাথর নিক্ষেপ। বিক্ষোভরত ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাসন ছিল ভয়াবহ। তারা কারফিউ জারি করে, বহু ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ি ধংস করে দেয় এবং তাদের পানির সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। প্রথম ইন্তিফাদায় ১৯৬২ জন ফিলিস্তিনি এবং ২৭৭ জন ইসরায়েলি নিহত হয়। আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ইসরায়েলের নৃসংশতার ব্যাপক নিন্দা জানানো হয় এবং ফিলিস্তিনি গণজাগরণ ব্যাপক প্রচার পায়। ২০০০ সালে ফিলিস্তিনিরা দ্বিতীয় ইন্তিফাদা সংগঠিত করে।
৮# ২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের নির্বাচনে জয়লাভ করে হামাস, যাকে ইসরায়েল ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে বিবেচনা করে। সে বছরই হামাস এবং ফাতাহ পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। ফাতাহ ছিল পিএলওকে নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক সংগঠন। ২০০৭ সালে ফাতাহকে পরাজিত করে হামাস। ইসরায়েল এবং হামাস একাধিক রক্ষক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের অপারেশন কাস্ট ল্যান্ড, ২০১২ সালের নভেম্বরের অপারেশন পিলার অব ডিফেন্স এবং ২০১৪ সালের জুলাইয়ের অপারেশন প্রটেকটিভ এজ। ২০১৪ সালের এপ্রিলে হামাস এবং ফাতাহ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
৯# দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময় পশ্চিম তীরে দেয়াল তুলে দেয় ইসরায়েল। ইসরায়েল দাবি করে নিজেদের নিরাপত্তা, অস্ত্রের অবৈধ চালান বন্ধ ও ইসরায়েলি ভূমিতে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করতে এটি করা হয়েছে। কিন্তু এই দেয়ালটিকে অনেকেই সামাজিক বর্ণবাদ ও বিভেদের একটি রূপ হিসেবে বিবেচনা করেন। ফিলিস্তিনিরা এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এই দেয়াল মানবাধিকার ও চলাচলের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করে।
১০# নিজেদের ভূমি থেকে জোর করে উচ্ছেদের শিকার হওয়া ফিলিস্তিনিরা আজও তাদের হারানো ভূমি পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছে। তারা এমন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যেটিকে সারা বিশ্ব বিনা বাক্যব্যয়ে স্বীকৃতি দেবে। কিছু কিছু ভূমি ফিলিস্তিনিদের দখলে থাকলেও সেখানেও ইসরায়েল অবৈধভাবে ক্রমাগত বসতি স্থাপন করে যাচ্ছে। যেমন- পশ্চিম তীর। এসব জায়গার বর্ডার নির্দিষ্ট না এবং ইসরায়েলের এ বসতি স্থাপনকে বৈশ্বিক সম্প্রদায় বরাবরই ‘অবৈধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে আসছে। ইসরায়েলের ভেতরের কিছু মানুষ ও সংগঠনও এসব বসতি স্থাপনের বিরোধিতা করছেন। ২০১৭ সালে হামাসের নেতারা ১৯৬৭ সালের জাতিসংঘ স্বীকৃত বর্ডার রেখে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের একটি রুপরেখা প্রকাশ করে, যেখানে জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু ওই প্রস্তাবে ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ায় ইসরায়েল সেটি প্রত্যাখ্যান করে। ২০১৮ সালে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন উত্তেজনা আবারও চরম আকার ধারণ করে, যখন যুক্তরাষ্ট্র (তৎকালীন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রসাশন) জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং তাদের দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করে।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সমস্যাকে অনেকেই ধর্মীয় বিভেদ হিসেবে দেখেন। ধর্মের ব্যাপারটা অবশ্যই এখানে গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এই সমস্যার দীর্ঘ ইতিহাসের দিকে চোখ দিলে সহজেই বোঝা যাবে যে, এই সমস্যার পেছনে ধর্মের চেয়েও বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতি। এই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের দখল ও নিয়ন্ত্রণ নিয়েই সমস্যা শুধু ক্রমাগত বেড়েছে, নিকট ভবিষ্যতে যার কোনো সমাধান আশা করা যায় না।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন