পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ বলা হয় তাকে। হেন জিনিস নেই, যাতে তিনি মজার খোরাক খুঁজে পান না, যা নিয়ে তিনি হাসাহাসি করেন না। আর এইসব হাসি তিনি ছড়িয়ে দেন টিকটক আর ফেসবুকে। আর মানুষও মজে গেছে তার এইসব হাসাহাসিতে। ভদ্রলোকের নাম বোরজাহ ইয়ানকি।
তার বাবা-মা কানাডায় এসেছিলেন ঘানা থেকে, তবে বোরজাহ ইয়ানকির জন্ম এবং বেড়ে ওঠা কানাডার উইনিপেগ- এ। সবাইকে হাসি-আনন্দে মাতিয়ে রাখা বোরজাহ স্কুল লেভেলে অসাধারণ অ্যাথলেট ছিলেন, কানাডিয়ান জুনিয়র সামার মিটে জ্যাভেলিন-থ্রো বিভাগে রেকর্ডও করেছিলেন। একসময় পার্ট টাইম জব হিসেবে ন্যানি/বেবিসিটারের কাজ করতেন। অলিম্পিকে খেলার স্বপ্ন দেখেন তিনি, সপ্তাহে পাঁচদিন প্র্যাকটিস করেন। বোরজাহ নিশ্চিত, একদিন তিনি কানাডার পতাকা গায়ে জড়িয়ে অলিম্পিকে নামার সুযোগ পাবেন।
হাসি দিয়ে নাকি বিশ্বজয় করা যায়! বোরজাহকে দেখে এই কথাটাকে সত্যি মনে হবে যে কারো। তিনি কৌতুক বলেন না, স্ট্যান্ডআপ কমেডি করেন না, ভাঙা ভাঙা শব্দে ভিনদেশি ভাষায় শুধু সংলাপ বলে যান হাসিমুখে। তাতেই এই মুহূর্তে কানাডার অন্যতম সেরা সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে ধরা হচ্ছে তাকে, শুধু হাসি দিয়েই এই অসাধ্য সাধন করেছেন তিনি।
সম্প্রতি বাংলা ভাষায় কিছু জনপ্রিয় ডায়লগ তার মুখে শোনা যায়। আর বাঙালিরাও সেসব লুফে নিয়েছেন বেশ, কমেন্টে-শেয়ারে ভাসছেন তিনি বাঙালির ভালোবাসায়। কিন্তু কে তাকে শেখালো এসব? জানা যায়, এক বাংলাদেশি প্রতিবেশিই তার এই বাংলা (নাকি ফেসবুকীয় বাংলা?) শেখার ‘শিক্ষক’।
তা, কী শিখেছেন বাংলা ভাষার এই নব্য শিক্ষার্থী? চলুন দেখে নেয়া যাক তার ভিডিওগুলোতে-
১# ‘আমরা করোনার চাইতেও শক্তিশালী’
২# এই ভিডিও দেখলে ডিপজলও ভিরমি খেতে পারেন! আবেগে ভিনদেশি ভাতিজাকে বলতেই পারেন, আহো ভাতিজা আহো…
৩# ‘এটা রসগোল্লা টাইম রসগোল্লা…’ কারা ডাকে এইভাবে?
৪# ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’
৫# পৃথিবীর যে কোনো লাইভ স্ট্রিমে, গুরূত্বপূর্ণ ভাষণের কমেন্টবক্সে, নামী তারকার স্ট্যাটাসের নিচে আমরা যে কথাটি লিখতে ক্লান্তি নেই বাঙালির...
৬# ‘মদ খাবি, মানুষ হবি’- সেফুদার যোগ্য শিষ্য!
৭# নাকি তিনি তাহেরির শিষ্য? ‘চা খাবেন? ঢেলে দেই?’
৮# ‘আকাশ ভরা তারা *** মারা সারা’
৯# কোন দল করেন তিনি? দেখুন জানাচ্ছেন নিজেই…
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন