গত ৩ জানুয়ারি ছিল বিশ্ববিখ্যাত হরর লেখক স্টিফেন কিংয়ের ৪৮তম বিবাহবার্ষিকী। এই উপলক্ষ্যে তিনি তার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। এক ভক্ত সেখানে লিখেছেন - ‘শুভ বিবাহবার্ষিকী। সেই নারীকে, যিনি ক্যারিকে ময়লার বালতি থেকে উদ্ধার করেছিলেন।’
'ক্যারি' হচ্ছে স্টিফেন কিংয়ের প্রথম উপন্যাস। বেশ কয়েকজন প্রকাশকের দ্বারে দ্বারে ঘোরার পর কেউ যখন বইটি ছাপছিল না তখন স্টিফেন কিং একদিন রাগ করে উপন্যাসটির পান্ডুলিপি ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দেন। লেখকের স্ত্রী তাবিথা স্পুর্স সেটি সযত্নে তুলে রাখেন। ১৯৭৪ সালে 'ক্যারি' প্রথম প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটি অনেক প্রশংসিত হয়, লেখকের সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা আসে। নিউ আমেরিকান লাইব্রেরি ৪ লক্ষ ডলারের বিনিময়ে ক্যারির রয়্যালিটি কিনে নেয়। ১৯৭৬ সালে উপন্যাসটি নিয়ে হলিউডে একটি মুভি নির্মাণ করা হয়। টাকার জন্য কিংকে আর সংগ্রাম করতে হয়নি। উনি স্কুলের শিক্ষকতা ছেড়ে ফুলটাইম লেখক হয়ে যান। লিখলেন পরের উপন্যাস 'সালেম'স লট'। পারিশ্রমিক বাবদ পেলেন আড়াই লক্ষ ডলার। ১৯৮৯ সালে ভাইকিং পাবলিশার্স তার সাথে চারটি বই চুক্তি করে ৩৫ মিলিয়ন ডলারে। সাইমন এন্ড সুইস্টারের সাথে ১০০০ পৃষ্ঠার জন্য ৮ মিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে সই করেন। ১৯৯৮ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিন তাকে দুনিয়ার ৩১তম ধনী ব্যক্তি হিসেবে ঘোষনা করেছিল।
এখনও পুরোদমে লিখতে থাকা এই লেখক রচনা করেছেন গা ছমছম করা অনেক ক্ল্যাসিক উপন্যাস আর ছোটগল্প। তার গল্প অবলম্বনে নির্মিত হলিউডি ছবিগুলোর মধ্যে 'শশাংক রিডেমপশন', 'দ্য শাইনিং', 'ইট' উল্লেখযোগ্য।
ফিরে আসা যাক 'ক্যারি'তে। প্যারানরমাল ক্ষমতাবিশিষ্ট এক কিশোরীকে নিয়ে লেখা এই ক্লাসিক উপন্যাসটির কারণেই স্টিফেন কিং আজকের অবস্থানে আসতে পেরেছেন। পৃথিবী পেয়েছে একজন মেধাবী লেখক আর তার অসংখ্য মূল্যবান সৃষ্টি। স্টিফেন কিংয়ের ভক্তদের কাছ থেকে তাবিথা স্পুর্সও একটা বড়সড় ধন্যবাদ পেতে পারেন।
আর অন্যদিকে আমরা কেউ কেউ পেয়েছি একটা অজুহাত। -আহা রে! লেখা ছিল, ওয়েস্টপেপার বাস্কেটও ছিল, ছিল না শুধু লেখা কুড়িয়ে নেবার মানুষ।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন