স্লোগানের যে দুটি লাইন আমরা শুনি না

১০৮৩ পঠিত ... ১৯:০৩, জুলাই ১৫, ২০২৪

24

গতকাল রাত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের এলাকাগুলোতে যারা ছিলেন কিংবা সরাসরি আন্দোলনকে লাইভ দেখেছেন, তারা একটা বিষয় হয়ত খেয়াল করে থাকবেন, আন্দোলনের স্লোগানের একটা বিশেষ অংশ বিভিন্ন খবরের কাগজ কিংবা তাদের ইউটিউব চ্যানেলে পাওয়া যাচ্ছে না। সেই বিশেষ পার্টটা কোথাও হয়ত কাট করে বাদ দেওয়া হয়েছে কিংবা কোথাও কোথাও মিউট করে দেওয়া হয়েছে। প্রিন্ট মিডিয়াতে উল্লেখই করা হয় নাই স্লোগানের সেই বিশেষ অংশগুলো।

কোটা নিয়ে আদালতের নতুন রায়ের পর আবারও কোটা বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। জুলাই মাসের এক তারিখ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কোটা বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সড়ক আটকে, মিছিল করে প্রতিবাদ প্রতিরোধ কর্মসূচি চালাচ্ছিলেন কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে গতকাল ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন থেকে ফিরে সংবাদ সম্মেলন চলার সময় কোটা নিয়ে বেশ কিছু কথা বলেন। যা আন্দোলনকারীদের জন্য ঠিক সুখকর ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর কথায় বেশ মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ হয়ে বেশ জোড়ালো ভাবে আন্দোলন চালানোর প্রস্তুতি নিতে থাকেন সাধারণ ছাত্র সমাজ। স্লোগানে স্লোগানে আন্দোলনকারিদের আশপাশের আকাশ বাতাস কেঁপে ওঠে। 

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিলকারীরা আবাসিক হলগুলো থেকে বেরিয়ে এসে, ‘তুমি কে আমি কে; রাজাকার, রাজাকার। কে বলেছে কে বলেছে; স্বৈরাচার স্বৈরাচার। তুমি কে আমি কে; রাজাকার, রাজাকার, কে বলেছে কে বলেছে; সরকার সরকার। চাইতে গেলাম অধিকার; হয়ে গেলাম রাজাকার। কোটা নয় মেধা; মেধা মেধা।‘ এ ধরনের স্লোগান দিয়ে মিছিল করতে থাকে।

এরসাথে ঢাকাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের একটি অংশের, ‘তুমি কে আমি কে; রাজাকার, রাজাকার’ নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। ছাত্ররা অবশ্য বলছে, প্রধানমন্ত্রী সবাইকে রাজাকার বলায় তারা এমন স্লোগান দিয়েছে।

চীন সফর উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার বলেন, কোটা নিয়ে আদালত থেকে সমাধান না আসলে সরকারের কিছু করার নেই।

তিনি প্রশ্ন রাখেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে?

বর্তমানে আন্দোলনে গেলে দেখা যাবে ক্যামেরা মাইক হাতে শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। কেউ কেউ সিটিজেন জার্নালিস্ট, কেউ কেউ প্রফেশনাল। সবাই খুব নিবিরভাবে পুরো আন্দোলনটা দেখে আসছেন, ভিডিও করছেন কিংবা ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানাচ্ছেন অন্য সবার কাছে। ফেসবুকের পোস্ট কিংবা ভিডিওগুলো খেয়াল করলে খুব সহজে বোঝা যায় যে, স্লোগানগুলো মূলত চার লাইনের।

কিন্তু বাংলাদেশে প্রথিতযশা সংবাদ মাধ্যমগুলোর অনলাইন, প্রিন্ট কিংবা ডিজিটাল অন্য কোনো মাধ্যমেই এখানে শুরুতে উল্লেখ করা স্লোগানের শেষ অংশটা পাবলিশ করা হয়নি।

১০৮৩ পঠিত ... ১৯:০৩, জুলাই ১৫, ২০২৪

আরও eআরকি

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

কৌতুক

রম্য

সঙবাদ

স্যাটায়ার


Top