ঘুম আমাদের জন্য খুবই উপকারি। ঠিকঠাক ঘুম না হলে থেমে যেতে পারে আমাদের স্বাভাবিক জীবন। আপনার স্বাভাবিক জীবন বজায় রাখার জন্যই আজকের এই লেখা।
১# স্মৃতিশক্তি ভালো করে
গবেষণায় দেখা গেছে ঘুমালে মানুষের মস্তিষ্ক শীতল থাকে ফলে সব কিছু খুব সহজেই মনে থাকে। মূলত মস্তিষ্কের কোষগুলো ঘুমের সময় স্মৃতিকে নতুন করে সাজিয়ে নেয়। এতে ঘুম থেকে ওঠার পর স্মৃতিগুলো ব্যবহার উপযোগী হয়।
২# আবেগগত সমস্যা দূর করে
ঘুমের অভাবে আবেগগত সমস্যা হতে পারে আর পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে মাথা ঠান্ডা রাখতে পারলে এ আবেগগত সমস্যা দূর হয়ে যায়। তাই আবেগগত সমস্যা থেকে দূরে থাকতে হলে পর্যাপ্ত ঘুমানো উচিত।
৩# যৌনতায় উন্নতি
ঘুমের ফলে দেহের হরমোন মাত্রা স্বাভাবিক হয়, যা যৌনতার জন্য প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। আর তাই পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে যৌনতায় উন্নতি করা সম্ভব।
৪# আয়ু বাড়ায়
একজন ব্যক্তির প্রতিদিন প্রায় আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। গবেষণায় দেখা যায়, যারা রাতে ছয় ঘণ্টা বা এর চেয়ে বেশি ঘুমান তাদের তুলনায় যারা ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান তারা একটু বেশিই আয়ু কমে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন।
৫# রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ঘুমের ফলে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। মূলত ঘুমের কারণে দেহের হরমোন মাত্রা স্বাভাবিক থাকে। আর এতে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
৬# সৃজনশীলতা বাড়ায়
সৃজনশীলতার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমানো দরকার৷ রাতের ঘুমের বাইরে একবার সামান্য একটু ঘুমিয়ে না নিলে কর্মক্ষমতা কমে৷ মন-মেজাজেও তার প্রভাব পড়ে৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাজের ফাঁকের সামান্য ঘুমও হৃৎস্পন্দনের হার শতকরা ৫ ভাগের মতো কমায় এবং কাজে মনোনিবেশের ক্ষমতা বাড়ায় শতকরা ৩০ ভাগের মতো৷ এতে বেড়ে যায় সৃজনশীলতা।
৭# ওজন নিয়ন্ত্রণ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুম বেশি হলে বরং ওজন কমে৷ এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন, ঘুম বেশি হলে বিপাক প্রক্রিয়া ঠিকভাবে সম্পন্ন হয়, ফলে যেসব খাদ্য উপাদান মেদ বাড়ায় সেগুলো হজম হয়ে যায়। সুতরাং মেদ কমাতে শুধু খাওয়া-দাওয়া, ব্যায়াম, খেলাধুলাই নয়, পাশাপাশি ঘুমের দিকেও মনযোগ দিতে হবে।