সাকিব আল হাসান সম্প্রতি দেয়া অনেকগুলো সাক্ষাৎকারের একটিতে জানিয়েছেন ভবিষ্যতে বিসিবি সভাপতি হওয়ার ইচ্ছার কথা। সুযোগ পেলে ইতিহাসের সেরা বিসিবি সভাপতি হবেন, তাও বলেছেন। কিন্তু বর্তমানে যিনি সেরাদের সেরা সভাপতি, সেই নাজমুল হাসান পাপন ভবিষ্যতের ‘হইলেও হইতে পারে’ সভাপতি সাকিবকে কেমন পরামর্শ দিতে পারেন? পাপন স্যার যেহেতু এখনও কিছু বলেননি (তবে যেকোনো সময় বলতে পারেন যে ‘আমিই বলেছিলাম’), তাই আমরাই ভেবে নিলাম, বিসিবি সভাপতি হতে সাকিবকে তিনি কী কী পরামর্শ দিতে পারেন!
১# দল সফল হলে তড়িৎ গতিতে ক্রেডিট নিয়ে নিতে হবে। আর হেরে গেলে সেই দায় খেলোয়াড়দের দিকে ছুড়ে দিতে হবে। প্রয়োজনে বলতে হবে, আমি বলেছিলাম ব্যাটিং নিতে ওরা নিলো বোলিং কিংবা শেষ বলটা ইয়র্কার দেয়ার পরামর্শ আমিই দিয়েছিলাম।
২# সবকিছু যেন অটো চলে এবং হয়, সে বিষয়ে বিশদ জ্ঞান ও দক্ষতা থাকতে হবে। যখন তখন অটোমেটিক প্রক্রিয়ায় দেশবাসীকে নানাবিধ তথ্য ও রহস্য উদঘাটনের খবর জানিয়ে দিতে হবে।
৩# হতে হবে ওয়ানম্যান আর্মি। শুধুমাত্র একটা দায়িত্ব নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না। বিসিবির পাশাপাশি আরও ২-৩ টা গুরুত্বপূর্ণ পদে নিজেকে যুক্ত করতে হবে।
৪# দলের সেরা খেলোয়াড়কে সবসময় টাইটের উপর রাখতে হবে। প্রয়োজনে দুয়েকবার নিষিদ্ধ করার বিষয়েও পিছপা হওয়া যাবে না।
৫# টস জিতে ব্যাটিং নিবে না কি ফিল্ডিং- ম্যাচের এক সপ্তাহ আগে ক্যাপ্টেনকে এই বিষয়টি নির্দিষ্ট করে দিতে হবে।
৬# নিজের চেয়ে সেরা সভাপতি আর কেউ হতে পারে না- নিজের ভেতর শক্তভাবে এই বিশ্বাসটি ধারণ করতে হবে। টানা ৪-৫ মেয়াদের আগে কোনভাবেই সভাপতির পদ ছাড়া যাবে না।
৭# রাগ-ক্ষোভ যা ঝাড়ার মিডিয়ার সামনে ঝাড়তে হবে। অফিশিয়ালি ঝাড়া যাবে না, এতে খেলোয়াড়রা মনঃকষ্ট পেতে পারে।
৮# কেউ ভালো স্কোর করলে বা ঝড়ো ইনিংস খেললে মিডিয়াকে বিস্ময় জানাতে হবে। ‘ও যে এভাবে ছক্কা মারতে পারে, আমি তো বিশ্বাসই করতে পারি না/’-এভাবে বলতে পারলে ভালো। এতে খেলোয়াড়রা মোটিভেশন পাবে।