জায়েদ খান। বাংলা সিনেমার এক 'অনবদ্য' নায়ক! যদিও উনার কোনো সিনেমা বা অভিনয়ের কথা কারোই মনে পড়ে না, তবে বিভিন্ন 'জ্বালাময়ী' বক্তব্য দিয়ে পত্রিকার পাতায় তার নাম দেখা যেতে থাকে নিয়মিত। বাস্তবে উনার চেয়ে ফিট নায়ক আরও অনেকে থাকলেও, ফটোশপ-ফিটনেসে এ দেশে উনিই বেস্ট। ফেসবুক সূত্রে জানা গেছে, অনেকেই নাকি জায়েদ খানকে জেলাস করে। জেলাসি বাদ দিয়ে সবাই যেন উনার মতো হতে পারে, সেই লক্ষ্যে একটি ফেক আইডি (উনার সিক্স প্যাকের মতোই ফেক) থেকে উনি তরুণ উঠতি নায়কদের জন্য দিয়েছেন কিছু সিক্স প্যাক বানানোর টিপস। চলুন মূল্যবান সেই পরামর্শগুলো জেনে নেয়া যাক।
১# সিক্সপ্যাক বানাতে হলে প্রথমেই ফটোশপ শিখে নিতে হবে। প্রো-লেভেলের ফটোশপ শিখলে ভালো, তবে বেসিক পর্যন্ত শিখলেও সমস্যা নেই। আমি নিজেই বেসিক ফটোশপ দিয়েই নিজের অধ্যবসায় ও ইস্পাত-দৃঢ় মনোবলে সিক্সপ্যাক বানিয়েছি। সালমান খানের বডিতে নিজের মাথা বসিয়ে নেয়ার কাজ পারা যায়, অতটুকু ফটোশপ স্কিলই যথেষ্ট৷ তবে সালমানের বডিতে মাথা বসানো কঠিন মনে হলে ঋত্বিক, বিদ্যুৎ কিংবা জন আব্রাহামেরটা হলেও চলে।
২# ফর সিক্সপ্যাক, ইউ হ্যাভ টু বি আ টি-শার্ট ফ্রিক। তোমাকে টি-শার্ট পরার অভ্যাস করতে হবে। যা তা টি-শার্ট পরলে হবে না। এই বিশেষ ধরণের টি-শার্টগুলো পাওয়া যাবে গুলিস্তান কিংবা নিউমার্কেটে। আল্লু আর্জুন, রামচরণের সিক্সপ্যাক ডিজাইন করা এই টি-শার্টগুলো পরলো তুমিও হয়ে যাবে বাংলা সিনেমার হার্টথ্রুব সিক্সপ্যাক হিরো।
৩# তৃতীয় থেরাপিটার নাম হলো কয়লা থেরাপি। না, জ্বলন্ত কয়লা পেটে লাগাতে হবে না। পেটকে ছয়টি ভাগে ভাগ করে ওখানে কয়লা দিয়ে ছয়টি দাগ টানতে হবে৷ এরপর শ্বাস আটকে রেখে ঘেটাঘেট কয়েকটি ছবি। ব্যস, হয়ে গেলো সিক্সপ্যাক৷
৪# প্রযুক্তির এই যুগে এসে কেন যে মানুষ সিক্সপ্যাকের জন্য জিমে গিয়ে পড়ে থাকে আমি জানি না! আসলে পার্শ্বনায়ক হলে যা হয় আর কি! আমার মত মূল নায়ক হতে হলে পরিশ্রম নয় বুদ্ধি লাগবে, প্রযুক্তি জ্ঞান থাকা লাগবে। আমি ভিএফএক্সের কথা বলছিলাম। ভিএফএক্স দিয়ে সিক্সপ্যাক বানিয়ে নিলেই হয়।
৫# যদি উপরের কোন কিছুই কেউ করতে না চায় তাদের জন্য রয়েছে একটা অসাধারণ হ্যাক। হ্যাঁ, এই হ্যাকটি আমি বিভিন্ন হ্যাকিং বই পড়ে শিখেছি৷ যা বলছিলাম, তোমাকে বিশ্বাস করতে হবে তোমার একটি সিক্সপ্যাক আছে। এরপর মনে মনে আউড়াতে হবে, মনের সিক্সপ্যাকই আসল সিক্সপ্যাক।