রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনতে গিয়ে মাঝেমাঝে চমকে যাই। কিছু চরণের অর্থ এমনভাবে আমার কানে ধরা দেয়, যা রবি ঠাকুর নিশ্চিতভাবেই বোঝাতে চাননি--
মূল চরণ ও গানের নাম:
এ মণিহার আমায় নাহি সাজে
আর আমি শুনি, যেন অপ্রত্যাশিত রকমের বেমানান ও অশোভন পরাজয়ের পর কৈফিয়ত হিসেবে কেউ গাইছে...
মূল চরণ:
তোমার মত এমন টানে কেউ তো টানে না
গানের নাম: তুমি ডাক দিয়েছ কোন সকালে
শুনে আমার মনে পড়ে যায় এলেমদার কোনও গঞ্জিকাসেবীর কথা...
মূল চরণ ও গানের নাম:
একটুকু ছোঁয়া লাগে, একটুকু কথা শুনি
শুনে আমার মনে হয়, যেন অশালীন স্পর্শ ও অশ্লীল শব্দ প্রসঙ্গে বলা হচ্ছে...
মূল চরণ:
বারেক তোমায় শুধাবারে চাই
গানের নাম: মনে কী দ্বিধা রেখে গেলে চলে
আর আমি শুনি, বারেক নামের ব্যক্তিকে বারে মদ্যপানের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে...
মূল চরণ ও গানের নাম:
আজি মর্মর ধ্বনি কেন জাগিল রে
আর আমি শুনি চারপাশে মৃত্যুর ডাক...
মূল চরণ:
প্রভু, দাও মোরে আরো চেতনা
গানের নাম: প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে
আর আমি শুনি, উপর্যুপরি চাহিদা মেটানোর আব্দারে ঈশ্বর অতিষ্ঠ হতে পারেন অনুমান করে তাঁকে ক্ষুব্ধ না হবার অনুরোধ জানানো হচ্ছে...
মূল চরণ ও গানের নাম:
যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে
শুনে আমার মনে হয়, এখানে প্রকাশ পেয়েছে কারুর পশ্চাদ্দেশে লাথি হাঁকানোর সুযোগ চিরতরে হারিয়ে ফেলার আক্ষেপ