কিছুদিন আগে রাজধানীর এলিফেন্ট রোডে এক ডাক্তার, মেজিস্ট্রেট ও পুলিশের ত্রিমুখী একটি তর্কযুদ্ধ ভাইরাল হয়। সেই তর্কযুদ্ধ নিয়ে অনেকে অনেক মতামত দিলেও আমরা ভাবার চেষ্টা করেছিলাম একটু ভিন্নভাবে। দেখার চেষ্টা করেছিলাম বাংলার সর্বকালের সেরা দুই সাহিত্যিক নজরুল ও রবীন্দ্রনাথ যদি রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে মেজাজ খারাপের চোটে কাঁচা ছন্দে এমন তর্ক করতেন তবে সেটা কেমন হতো।
১#
রবিদা:
ওরে দিন ভালো নারে
করোনা গগণে
লকডাউন আজ তাইরে
তুই আসলি কেন বাইরে?
নজরুল:
ওরে নরাধম, খোদার কসম
পাস আছে মোর কাছে
খোঁজ নিয়ে দেখ
আজ বিকেলে
ঘেটুদলে গান আছে।
(মেহেদি হাসান)
ওরে দিন ভালো নারে
করোনা গগণে
লকডাউন আজ তাইরে
তুই আসলি কেন বাইরে?
নজরুল:
ওরে নরাধম, খোদার কসম
পাস আছে মোর কাছে
খোঁজ নিয়ে দেখ
আজ বিকেলে
ঘেটুদলে গান আছে।
(মেহেদি হাসান)
২#
নজরুল (পুলিশ):
আইডি আছে, নাকি নেই, পারিবেন কি দেখাইতে?
নইলে চাক্কা খুলিয়া রাখিয়া দিবো, পারিবেন না কিন্তু যাইতে।
রবীন্দ্রনাথ (ডাক্তার):
আইডি আনিতে ভুলিয়া গেছি, কিন্তু জ্ঞান দেবার তুই কে?
যেতে যদি মোরে না দিস তবে ফোন করিব তোর বসকে।
নজরুল:
এত বড় সাহস আপনার, আমাকে দিচ্ছেন থ্রেট
কেবল মুখেই বড় কথা কিন্তু দেখিতে কুষ্টিয়া গ্রেড
দিলে দিন ফোন বসকে, হোক আজ হুলিয়া
কে কোথায় আছিস রেঞ্জ আন, রাখিব চাক্কা খুলিয়া।
রবীন্দ্রনাথ:
এই তুই কী বললি! এতক্ষণ হইয়াছে ঢের
দিব বদলি করাইয়া বান্দরবন, পাবি ঠিকই তখন টের।
(আবদুল্লাহ ওমর নাসিফ)
আইডি আছে, নাকি নেই, পারিবেন কি দেখাইতে?
নইলে চাক্কা খুলিয়া রাখিয়া দিবো, পারিবেন না কিন্তু যাইতে।
রবীন্দ্রনাথ (ডাক্তার):
আইডি আনিতে ভুলিয়া গেছি, কিন্তু জ্ঞান দেবার তুই কে?
যেতে যদি মোরে না দিস তবে ফোন করিব তোর বসকে।
নজরুল:
এত বড় সাহস আপনার, আমাকে দিচ্ছেন থ্রেট
কেবল মুখেই বড় কথা কিন্তু দেখিতে কুষ্টিয়া গ্রেড
দিলে দিন ফোন বসকে, হোক আজ হুলিয়া
কে কোথায় আছিস রেঞ্জ আন, রাখিব চাক্কা খুলিয়া।
রবীন্দ্রনাথ:
এই তুই কী বললি! এতক্ষণ হইয়াছে ঢের
দিব বদলি করাইয়া বান্দরবন, পাবি ঠিকই তখন টের।
(আবদুল্লাহ ওমর নাসিফ)
৩#
নজরুল (পুলিশ):
কারের ওই লৌহ কপাট, খুলে ফেল, নাইরে আইডি কার্ড
হাহা পায়রে হাসি, দেখিয়া তাহার আজাইরা পার্ট।
রবীন্দ্রনাথ (ডাক্তার):
জানিস আমি কে? না কি করিস ভান?
জোড়াসাঁকোর কুমার আমি, হারামজাদা টানিয়া ধরিব কান!
কারের ওই লৌহ কপাট, খুলে ফেল, নাইরে আইডি কার্ড
হাহা পায়রে হাসি, দেখিয়া তাহার আজাইরা পার্ট।
রবীন্দ্রনাথ (ডাক্তার):
জানিস আমি কে? না কি করিস ভান?
জোড়াসাঁকোর কুমার আমি, হারামজাদা টানিয়া ধরিব কান!
৪#
রবীন্দ্রনাথ (পুলিশ):
ওহে নজরুল, করিয়াছো ভুল আইডি কার্ড না আনিয়া ভাঙ্গিয়াছো রুল।
নজরুল (ডাক্তার):
গাহি সাম্যের গান
তুমি-আমি আমরা সবাই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
চিটার নই আমি বাটপার নই ভাই, জানি ভাঙ্গিয়াছি রুল
আছে নথি অনেক, বিচক্ষণ তুই, আমি আসলেই নজরুল।
ওহে নজরুল, করিয়াছো ভুল আইডি কার্ড না আনিয়া ভাঙ্গিয়াছো রুল।
নজরুল (ডাক্তার):
গাহি সাম্যের গান
তুমি-আমি আমরা সবাই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
চিটার নই আমি বাটপার নই ভাই, জানি ভাঙ্গিয়াছি রুল
আছে নথি অনেক, বিচক্ষণ তুই, আমি আসলেই নজরুল।
৫#
রবীন্দ্রনাথ (ডাক্তার):
নোবেল না পাইয়া হইয়াছিস বিদ্রোহী
রাস্তাঘাটে হয়রান করিস দেখ কাকে ফোন করি।
নজরুল (পুলিশ):
ও ভাই, ব্রিটিশরে ফোন দিলে পুরিয়া দিবে জেলে,
এমন করবেন না আপনার হাতে পায়ে ধরি।
নোবেল না পাইয়া হইয়াছিস বিদ্রোহী
রাস্তাঘাটে হয়রান করিস দেখ কাকে ফোন করি।
নজরুল (পুলিশ):
ও ভাই, ব্রিটিশরে ফোন দিলে পুরিয়া দিবে জেলে,
এমন করবেন না আপনার হাতে পায়ে ধরি।