বিসিএস ভাইভা পরীক্ষায় চা-বিস্কুটের পাশাপাশি আরও যে ৮টি সুবিধা দেয়া দরকার

১৪৬৫ পঠিত ... ১৯:৪৮, আগস্ট ২৭, ২০১৯

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) মৌখিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের ভীতি কাটাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এজন্য প্রথমবারের মতো ৩৮তম বিসিএসের ভাইভা পরীক্ষায় প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে পানির পাশাপাশি এক কাপ চা ও একটি বিস্কুটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, মৌখিক পরীক্ষার টেবিলে জড়তা দূর করতে কমিশনের পক্ষ থেকে সামান্য পরিসরে প্রতি পরীক্ষার্থীর জন্য পানি, এক কাপ চা ও বিস্কুটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এটি পরীক্ষার্থীদের দেওয়া ফির অংশ থেকে করা হয়েছে। আমি মনে করি, এতে এক জন পরীক্ষার্থী কিছুটা হলেও সাবলীলভাবে প্রশ্নের জবাব দিতে উপকৃত হচ্ছেন।

খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হাজারো হবু ক্যাডাররা নিশ্চয়ই অনেক আনন্দিত। তবে, বাঙালি তো জানেনই, বসতে দিলে আরও কী কী করতে চায়! ভাইভার সময় চা-বিস্কুট দেয়ার পর যদি বিসিএস পরীক্ষার্থীরা আরও কী কী সুবিধা চাইতে পারে, বিসিএসের পড়াশোনার এক ফাঁকে তা ভাবতে বসেছিলেন তারেকুর রহমান।

 

১# ভাইভার সময় ফেসবুক চালানোর সুযোগ দেয়া উচিত। শুধু তাই না, ভাইভার মাঝে অন্তত কয়েকবার টাইমলাইনে ঘুরে আসার সুযোগ দেয়া উচিত। এতে করে পরীক্ষার্থী অনেকটা ফুরফুরে মেজাজে থাকবে। যারা চ্যাট করতে চায়, তাদের চ্যাট করতে দিলে খুবই ভাল হয়। প্রশ্নের মাঝখানে কেউ নক করলে তাকে রিপ্লাই দেয়ারও সুযোগ থাকা উচিত, নাহলে মনের মধ্যে খচখচানি থাকায় সে হয়তো নার্ভাস হয়ে যেতে পারে।

২# গার্লফ্রেন্ডের সাথে ফোনে কথা বলার সুবিধা রাখলে খুব ভালো হয়। গার্লফ্রেন্ডের দেয়া মানসিক চাপের কারনে অনেকের ভাইভা খারাপ হয়। ভাইভার মাঝখানে ফোনে কথা বলার সুবিধা থাকলে গার্লফ্রেন্ডকে তার আপডেট জানাতে পারবে। এমনকি ভাইভা ভালো হচ্ছে তাই গার্লফ্রেন্ড যেন তাকে ছেড়ে না যায়, সে ব্যাপারটিও জানাতে পারে।

৩# কোন প্রশ্নের উত্তর না পারলে অন্য কারো সহযোগিতা নেয়ার সুযোগ থাকা উচিত। এ ব্যাপারে 'কউন বনেগা ক্রোরপাতি'র 'ফোন অফ ফ্রেন্ড' লাইফলাইনের সিস্টেম ফলো করা যেতে পারে। ৩০ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে কাউকে ফোন করে এন্সার জেনে নিতে হবে। না পারলে ভাইভা এইখানেই শেষ...

৪# নার্ভকে শান্ত করার জন্য মৃদু ভলিউমে উচ্চাঙ্গসংগীত প্লে করা যেতে পারে। কেউ বেশি নার্ভাস হয়ে পড়লে তার জন্য রিল্যাক্সিং বডি ম্যাসাজের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

৫# ভাইভা বোর্ডে সরকারি খরচে মোটিভেশনাল স্পিকার নিযুক্ত করা প্রয়োজন। অনেকেরই হয়তো ব্যাসিক ভালো, কিন্তু জাস্ট একটু মোটিভেশনের অভাবে ভাইভাতে নার্ভাস হয়ে যায়। ভাইভা শুরুর আগেই ‘তুমিও পারবে’, ‘সফলতা আসবেই’ ইত্যাদি মোটিভেশনাল স্পিচ পেলে হয়তো অনেকেই বেটার পারফরম্যান্স দেবে। পাশাপাশি প্রয়োজন অনুসারে ১০ মিনিটের ক্র্যাশ কোর্স করিয়ে নিলেও খারাপ হয় না।

৬# একজন ভাইভা প্রার্থীর সবচেয়ে বড় মানসিক চাপ থাকে কোন জায়গা থেকে প্রশ্ন করা হবে, তা নিয়ে। এজন্য প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে ভাইভা শুরুর আগেই তার পছন্দের ক্ষেত্র বেছে নেয়ার সুযোগ দেয়া হলে বড় ভালো হয়। যেমন ধরুন, অপশন থাকলো বাংলাদেশ বিষয়াবলী, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী, বিজ্ঞান, মানসিক দক্ষতা ইত্যাদি। এখান থেকে যেকোনো অপশন পছন্দ করার সুযোগ দিলে কিন্তু পরীক্ষার্থীদের মানসিক চাপ একেবারে কমে যাবে।

৭# নেটফ্লিক্সের বিখ্যাত টিভি সিরিজ ‘স্যাক্রেড গেমস’এ আমরা দেখতে পাই, গুরুজির আশ্রম থেকে সাপ্লাই দেয়া লাল বর্ণের ‘গোচি’ নামক ভেষজ ওষুধ মানসিক প্রশান্তি আনতে সহায়তা করে। বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য গোচির ব্যবস্থা করলেও তারা যথেষ্ট উপকৃত হবেন বলে আশা করা যায়।

৮# তবে মাথা ঠান্ডা করতে ঘুমের উপর কোন ওষুধ নেই। নার্ভাস ও বিভ্রান্ত পরীক্ষার্থীরা যেন ছোটখাট একটি ‘পাওয়ার ন্যাপ’ নিয়ে নিজেদের বিক্ষিপ্ত চিন্তাভাবনাকে কেন্দ্রীভূত করে সাবলীলভাবে ভাইভার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে, তার জন্য আরামদায়ক তোষক, কাথা, বালিশ, কোলবালিশ ও এলার্ম ক্লকের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

১৪৬৫ পঠিত ... ১৯:৪৮, আগস্ট ২৭, ২০১৯

Top