সিরিজের মাঝপথে, টুর্নামেন্টের মাঝে এমনকি খেলা চলাকালেও আজকাল দলে ক্রিকেটারদের অন্তর্ভূক্তি ঘটাচ্ছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। টুর্নামেন্টের মাঝপথেই হুট করে সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েসকে ম্যাচের মাত্র একদিন আগে দুবাইয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। ভবিষ্যতে খেলার সময় অতি দ্রুত দেশ থেকে বিদেশে খেলোয়াড় এনে তাৎক্ষনিক ভিত্তিতে যেন মাঠে নামিয়ে দেয়া যায়, সেজন্য বিসিবির কিছু অত্যাধুনিক খেলোয়াড় পরিবহন পদ্ধতির প্রয়োজন হতেই পারে। বিসিবির জন্য এমন কিছু উপায় ভেবেছে eআরকির টেলিপোর্টেশন দলের সদস্যবৃন্দ।
১# আলাদিনের জাদুর পাটি
যাতায়াতের জন্য বাস, প্লেন বাদ দিয়ে আলাদিনের জাদুর পাটি খুঁজে বের করে সেটাকেই বিসিবির অফিসিয়াল বাহন বানানো যেতে পারে। দলের প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে ম্যানেজমেন্ট চাহিবামাত্র খেলোয়াড়দের পাটিতে বসিয়ে দিলেই কেল্লাফতে। গ্যালারির কাছাকাছি এসেই ক্রিকেটাররা জার্সি, প্যাড, গ্লাভস পরে তৈরি হয়ে যাবেন এবং মাঠে ঝাপ দিয়ে পড়ে খেলা শুরু করে দেবেন৷
২# ফিগেট পাখি পদ্ধতি
ঘন্টায় ২৭৬ মাইল বেগে উড়তে সক্ষম বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম পাখির নাম ফিগেট পাখি৷ বিসিবি হুটহাট খেলোয়াড় পাঠাতে কিছু ফিগেট পাখি সংরক্ষণ করে রাখতে পারে। কবুতর যেমন মুখে চিরকুট নিয়ে মাইলের পর মেইল পাড়ি দিত, তেমনি ফিগেট পাখি খেলোয়াড়দের নিমিষেই উড়িয়ে নিয়ে যাবে দেশান্তরে। টসের সময় রওয়ানা হলেও অপর দলের দুই ব্যাটসম্যান মাঠে নামার আগেই ফিল্ডাররা যথাসময় মাঠে নেমে পড়তে পারবেন।
৩# সুপারম্যান
সুপারম্যান বা স্পাইডারম্যান গোত্রীয় উড়তে সক্ষম সুপারহিরোদের খেলোয়াড় হিসেবে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। এতে করে চাহিবামাত্রই যেকোনো দেশে যেকোনো সময় উড়ে যাওয়া সম্ভব হবে! এমনকি এক নম্বর ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার আগেই চার নম্বর ব্যাটসম্যান অন্য দেশ থেকে উড়ে গিয়ে সোজা ব্যাটিং-এ নেমে পড়তে পারবেন!
৪# জাদুটোনার ব্যবস্থা
ফিজিও, ম্যানেজার, কিউরেটরের পাশাপাশি বিসিবি একজন জাদুকর নিয়োগ দিতে পারে। দলের ক্রান্তিকালে 'ছু মন্তর ছু' বলে হাত না কাঠি নাড়ালেই দলের বাইরে থাকা যেকোনো খেলোয়াড়কে যেকোনো দেশ থেকে পলকের মধ্যেই উড়িয়ে এনে সরাসরি মাঠে প্রবেশ করাতে সক্ষম হবেন সেই জাদুকর।
৫# ক্রিকেটারদের জন্য দেশীয় এনার্জি ড্রিংক্স
দেশের বেশিরভাগ এনার্জি ড্রিংক্সই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমাদের জানিয়েছে, তাদের ড্রিংক্স এতটাই এনার্জেটিক, খাইলেই মাম্মা পুরা পাংখা! তাই লাঞ্চ, ডিনার, জিম পরবর্তী বিশ্রাম সেশনে প্রতিটি ক্রিকেটারকে দেশীয় এনার্জি ড্রিংক্স পান করা বাধ্যতামূলক করতে হবে। দলের বাইরে থাকা খেলোয়াড় টেলিভিশনে বসে নিজ দলকে নাস্তানাবুদ হতে দেখলে এক বোতল দেশীয় এনার্জি ড্রিংক্স গিললেই ঘরের ছাদ ভেঙে উড়ে গিয়ে মাঠে পৌঁছে যাবে!
৬# নিজস্ব স্যাটেলাইট স্থাপন
মহাকাশে বিসিবিও নিজেদের একটি স্যাটেলাইট স্থাপন করতে পারে। যখন যেখান থেকে যে খেলোয়াড়কে আনা দরকার, স্যাটেলাইট স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে তাকে ডিটেক্ট করে ধরে এনে মাঠ বসিয়ে দেবে। সেটা কীভাবে সম্ভব, সে ব্যাপারে বিসিবি ফেসবুকীয় স্যাটেলাইট বিজ্ঞানীদের সাথে আলাপ করতে পারে।
৭# হাইপারজাম্প পদ্ধতি
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের সাহায্য নিয়ে মহাকাশে মুহূর্তের মধ্যে আলোকবর্ষ দূরত্ব অতিক্রমের পদ্ধতি মানে হাইপারজাম্প সিস্টেম চালু করার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। বিসিবি অফিসের দরজা দিয়ে বের হওয়ামাত্র খেলোয়াড় হাইপারজাম্পের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে খেলার মাঠে! খেলা পৃথিবী তো বটেই, অন্য কোনো গ্রহ কিংবা অন্য সৌরজগতে হলেও খেলোয়াড়রা অনায়াসেই মাঠে পৌঁছতে পারবেন।
৮# হ্যাট এবং খরগোশ পদ্ধতি
খালেদ মাহমুদ সুজন যেহেতু মূল দলের সঙ্গেই ঘোরাফেরা করেন, তিনি মাথায় সবসময় একটি ম্যাজিশিয়ানের হ্যাট পরতে পারেন। এই হ্যাট উল্টিয়ে হ্যাটের ভেতর থেকে খরগোশের বদলে বের করে আনা যাবে পছন্দসই যেকোনো খেলোয়াড়কে!
৯# সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরলেই হয়
কখন যে কোন খেলোয়াড়কে লাগে, বলা তো যায় না। প্রতিটা টুর্নামেন্টে পনেরোজনের দলের বদলে চল্লিশ-পঞ্চাশজনের একেকটা দল নিয়ে গেলেই তো ল্যাটা চুকে যায়! পিকনিকের মেজাজে খেলা হয়ে যাবে প্রতিটা সিরিজ। সদ্য অবসর নেয়া খেলোয়াড় থেকে শুরু করে মাত্র ক্রিকেট খেলতে শুরু করা পোলাপান, বাদ যাবে না একটি শিশুও!
১০# ভিডিও কনফারেন্সের ব্যবস্থা
সময় যদি একেবারেই কম থেকে, বিসিবি আরো উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য নিতে পারে প্রযুক্তির সাহায্য। যেমন, খেলা যে দেশেই হউক, বদলি খেলোয়াড় মিরপুরের মাঠেই দলের প্রয়োজনে ব্যাটিং বা বোলিং করবেন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। এ ব্যাপারে বিসিবি আইসিসির কাছে উচ্চতর প্রযুক্তি চেয়ে আবেদন করতে পারে।