অ্যানিমেল মুভি রিভিউ: (অনেক স্পয়লার)

৭১৫ পঠিত ... ১৫:৪৪, ডিসেম্বর ০৯, ২০২৩

18 (1)

অ্যানিমেল মুভিতে রণবীর কাপুরের দুই বোন থাকে৷ রণবীরের বাবা থাকে ইন্ডিয়ার সবচাইতে ধনী ব্যক্তি। ওনার অঢেল টাকা। এজন্য উনি টাকা দিয়ে উনার দুই মেয়েকে অশ্লীলতা শেখানোর জন্য অনেক দামী প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়তে পাঠায়। কিন্তু মুভির নায়িকা রাশমিকা মান্দানা খুব ভালো মেয়ে। সে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয় এবং সবাইকে গর্ব করে বলে, 'ভাগ্যিস আমার বাপমার অঢেল টাকা ছিল না। থাকলে তারাও মনে হয় টাকা দিয়ে আমাকে অনেক দামী প্রাইভেট ভার্সিটিতে অশ্লীলতা শিখতে পাঠাতো।'

এদিকে রণবীর কাপুর রাশমিকা মান্দানাদের কলেজে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলে, 'শেয়াল তো চেনো তোমরা, ফক্স। পৃথিবীর সব শেয়াল মুরগীর স্বাধীনতা চায়। কেন মুরগীর স্বাধীনতা চায়? যাতে ধরে ধরে খেয়ে ফেলতে পারে!'   

এই ডায়ালগ শুনে রাশমিকা খুব খুশি হয়। এবং রণবীর কাপুরকে বিয়ে করে। পরবর্তী কিছু দৃশ্যে রণবীর বিভিন্নভাবে রাশমিকার সাথে ঘনিষ্ঠ হয়, সেটা দেখানো হয়। কখনও প্লেনে, কখনও পাহাড়ে, কখনও কাশ্মিরে তাদের খাওয়াদাওয়া চলে৷ রাশমিকা লেখাপড়া করতে চাইলেও রণবীর তাকে লেখাপড়া করতে দেয় না৷ এবং তাকে দিয়ে শুধু বাচ্চা জন্ম দেয়ায়।  

অন্যদিকে রণবীরের বাপ অনিল কাপুর ব্যবসা নিয়ে প্রচুর প্যারায় থাকার জন্য রণবীরকে টাইম দিতে পারে না। রণবীর এই নিয়ে খুব দুঃখে থাকে। তখন একদিন শত্রুরা রণবীরের বাপকে গুলি করলে রণবীর শত্রুদের ওপর, 'শাহীইইইন, নটির পোলাকে ধরে ফেল' বলে ঝাঁপিয়ে পড়ে।  

শত্রুদের মেরে কেটে অস্থির করে ফেলে। কিন্তু আসল ভিলেন ববি দেওলকে ধরতে পারে না।

তখন ববি দেওলকে দেখানো হয়। সে প্রচুর নেশা করে এবং খুলনা থেকে এক ফুড ভ্লগারের বউকে ধরে এনে নিজের বাসায় আটকে রেখে বিয়ে করে। তার মোট তিন বউ। সে বউদের অনেক মারধোরও করে।

গল্পের এই পর্যায়ে রণবীরের আরেকটা মুরগী, স্যরি আরেকটা মেয়েকে ভালো লাগে। সে মেয়েটার সাথে পরকীয়া করতে থাকে৷ রাশমিকা জানতে পারলে খুব রেগে যায়৷ বলে, তুমি কি আমার সাথে কাজটা ঠিক করেছ?'

রণবীর মাথা নিচু করে বলে, 'না, আমি নিজেকে নির্দুষ প্রমাণ করতেছি না। আমি যখন জানি আমি কেন নিজেকে নির্দুষ দাবী করব? আমি দুষি। আমি কি আপনাদেরকে একবারও বলছি, আমি নির্দুষ? তখন আমার আবেগে কাজ করেছে, বিবেক কাজ করে নাই। বিবেকটা কাজ করলে, পৃথিবীর সর্বশেষ্ঠ আদালত হচ্ছে মানুষের বিবেক। তখন যদি আমার বিবেকটাই কাজ কর‍ত, তাহলে আমি এতো বড় ফাফের মধ্যে জড়িয়ে যেতাম না।'

সহজ স্বীকারোক্তির কারণে রণবীরকে রাশমিকা মাফ করে দিলেও তাদের সংসারে এরপর থেকে অশান্তি চলতেই থাকে। প্রতিদিন নানান ছোটোখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া হওয়া শুরু হয়।

রণবীরের বাবা অনিল কাপুর বুঝতে পারে সে রণবীরের সাথে সারাজীবন অনেক অন্যায় করেছে। সে রণবীরকে স্যরি বলে। তখন রণবীর বলে, 'চলো বাবা আমরা একটা গেম খেলি, মনে আছে একদিন তুমি অফিস থেকে ফেরার পর আমি তোমাকে বলছিলাম আমার সাথে খেলতে। তুমি বলেছিলে ঝামেলা কইরো না, সারাদিন কাজ করে এসে আমার অনেক কষ্ট হয়ে গেছে। সেই দিনটাকে রিপ্লে করি। আমি বাবা, তুমি ছেলে। তোমার কিছুই করতে হবে না, তুমি শুধু বলবা, কী কষ্ট বাবা, কী কষ্ট বাবা?

রণবীর অ্যাকশান বলে। অনিল কাপুর বলে, 'বাবা, তোমার কী কষ্ট বাবা, তোমার কী কষ্ট?'

রণবীর তখন বলে, 'তুমি আমার জুতায় চলছ না। আমি যেই জুতা পরে আছি সেই জুতা তুমি পরছ না, সো আমার কষ্ট যেটা সেটা তুমি বুঝছ না। যেমন আমি তোমার জুতাতে নেই। আমি কি তোমার কষ্ট বুঝতেছি? না। কেউ কারো কষ্ট বুঝেনা দুনিয়াতে। এই দুনিয়াতে, একাই করতে হয় সবকিছু।'

এই ঘটনার পর রণবীর আর তারা বাবার মাঝে সব ঠিক হয়ে যায়৷ রণবীর তার বাবাকে আরও ভালোবাসতে থাকে৷ কিন্তু রাশমিকার সাথে ঝামেলা বাড়তে থাকে৷ একসময় ওদের ডিভোর্স হয়ে যায়।

ডিভোর্সের পর রাশমিকা সংসার চালানোর জন্য ফেসবুকে ভিডিও বানানো শুরু করে। এবং অনেকদিন পর একদিন লাইভে এসে বলে, 'একটাবার চিন্তা করো রুহুল আমীন, কী কারণে তুমি আমাকে ডিভোর্স দিছিলা। কোনোদিন ভাবছো যেই মেয়েটারে আমি লেখাপড়া করাতে চাই নাই, সেই মেয়েটা আজকে তোমার চেয়ে বেশি শিক্ষিত। কোনোদিন ভাবছো, তোমার এক্স ওয়াইফ ফাবিহা হাসান মনীষা, মাসে কোনোদিন দশ লক্ষ টাকা ইনকাম করবে...!

বি: দ্র: সিনেমায় রণবীর কাপুরের নাম থাকে রুহুল আমীন আর রাশমিকা মান্দানার নাম থাকে ফাবিহা হাসান মনীষা৷

৭১৫ পঠিত ... ১৫:৪৪, ডিসেম্বর ০৯, ২০২৩

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top