ইমার্জেন্সিতে দুই ছিনতাইকারীকে নিয়ে এসেছে পুলিশ।
এসআই সাহেব খুব সংক্ষেপে ঘটনার বর্ণনা দিলেন…
'এরা সিএনজিতে ছিনতাই করে৷ নীরব কোনো রাস্তা থেকে যাত্রীকে তুলে নেয়৷ তারপর কৌশলে তার কাছ থেকে সব ছিনিয়ে নেয়। আজ তাদের কপাল খারাপ৷ পাবলিক দুই বদমাইশকে ধরে হেভি মাইর দিয়েছে।'
হাসপাতালে এসব 'মাইর' নোট করে রাখতে হয়।
আমি প্রধান 'বদমাইশ'কে একটু পরীক্ষা করতে গেলাম। চেহারাটা একটু পরিচিত লাগলো।
আসামীও দেখি সরু চোখে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ সে বলে উঠলো, 'স্যার, আমি আপনারে চিনি। আপনার বাসা সোবহানিঘাট। আপনারে আমি দুই বছর সিএনজিতে করে মেডিকেলে আনছি, নিছি। আপনিই বলেন, আমি কোনোদিন ছিনতাই করছি আপনারে?'
সাথে সাথে দ্বিতীয় বদমাইশটাও উত্তেজিত হয়ে উঠলো। সে রীতিমতো আঙ্গুল তুলে বক্তৃতা দেয়ার ভঙ্গিতে বললো, ‘ঘটনার এইখানেই মীমাংসা হোক। থানা-পুলিশের দরকার নাই৷ স্যার আমাদের নিজেদের লোক।‘
হকচকিয়ে গেছি রীতিমতো। সাথে থাকা এসআই সাহেবও অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলেন আমার দিকে। তার মনের কথা স্পষ্ট পড়া যাচ্ছে; এ কেমন ডাক্তার! ছিনতাইকারীর 'নিজের লোক'।
চাকরিজীবী স্বামীরা স্ত্রীদের কাছে ঘটনা বাড়িয়ে বলতে পছন্দ করেন।
আমি নিশ্চিত, আজ রাতে ডিনারে বসে এসআই সাহেব স্ত্রীকে বলবেন, 'দেশটা কোথায় যাচ্ছে চিন্তা করো! এক ডাক্তারের সাথে পরিচয় হলো আজ। ছিনতাইকারী চক্রের নেতা। চেহারা দেখে বুঝারই উপায় নাই।'
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন