ইদানীং সর্বত্র উইলিয়াম শেক্সপিয়ার। টু বি অর নট টু বি···কী হবে আর কী হবে না-আশা করি পাঠক ইতিমধ্যেই আন্দাজ করেছেন। ‘হোক আর না হোক, আমরা প্রস্তুত···’ এক আড্ডায় একজন আমাকে জানালেন।
-কিসের জন্য প্রস্তুত?
-কেন, আঙ্গুলে অমোচনীয় কালি লাগানোর জন্য?
-কিন্তু আমি পৃথিবীর কোনো মানুষকেই কোনো বিষয়ে ভোট দিতে রাজি নই। এক নিরাশাবাদী মন্তব্য করে বসে।
-এটা আবার কেমন কথা! তাহলে কাকে ভোট দেবেন?
-কেন, উটকে!
-উটকে!! উটকে কেন? যুক্তি কী? আমি জানতে চাই।
-কারণ, উট কোনো খাওয়াদাওয়া না করে সাত দিন কাজকর্ম করে যেতে পারে। আর মানুষ···এক সপ্তাহ (কিংবা তারও বেশি ) কাজকর্ম না করেও দিব্যি খাওয়াদাওয়া করে যেতে পারে। এখন আপনিই বলুন···?
-আচ্ছা দুই নেত্রী কি আলোচনায় বসবেন? আরেকজন আশাবাদী জানতে চায়।
-বসলে আমাদের কী? আমরা তো সব সময় অন্ধকারে।
-তাঁরা আলোচনায় বসলে কী কথা বলবেন?
-সেটা আমরা কখনোই জানতে পারব না। জানতে জ্যোতিষ লাগবে।
-আমার বাবা ভালো জ্যোতিষ। আড্ডার কনিষ্ঠতম শিশুটি হাত তোলে। যেন এটা একটা স্কুল।
-তোমার বাবা জ্যোতিষ?
-হ্যাঁ।
-হ্যাঁ না, বলো জি। আরেকজন কার্টিসি শেখানোর চেষ্টা করে বাচ্চাটিকে।
-কীভাবে বুঝলে? আমি জানতে চাই।
-তিনি যা বলেন তা ফলে যায়।
-কী রকম?
-এই তো ছয় মাস আগে তিনি বলেছিলেন আমি ফাইনাল পরীক্ষায় ফেল করব। আমি ফেল করেছি।
আমরা সবাই ভাবলাম উচ্চ স্বরে হেসে উঠি। কিন্তু হাসলাম না। হাসি সব সময় সংক্রামক নয়। তবে এ সময় আমাদের অবাক করে একটি কুকুর ঢুকে গেল আমাদের এই অসংলগ্ন আড্ডায়। ‘কুকুর! কুকুর!!’ কেউ কেউ চেঁচাল।
-কুকুরকে ভয়ের কিছু নেই
-কুকুর মানুষের বন্ধু।
কিন্তু আড্ডার কনিষ্ঠতম শিশুটি যে দাবি করে তার বাবা জ্যোতিষ, সে ফের চেঁচিয়ে উঠল ভয়ে।
‘না না, ভয়ের কিছু নেই।’ সবচেয়ে বয়স্কজন তাকে সাহস দেয়। ‘···ভয় পাওয়ার কিছু নেই, ও তোমায় খেয়ে ফেলবে না।’
-খাওয়া শুরু করেনি কিন্তু চেখে দেখতে শুরু করেছে! শিশুটি বলে।
কে জানে, হয়তো আমরা সবাই এখন ‘চাখার’ পর্যায়ে আছি ··· টু বি অর নট টু বি ···!!
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন