সঞ্জয় সরকার
পরার্থপরতার অর্থনীতি। অর্থনীতিবিদ আকবর আলী খানের অর্থনীতি বিষয়ক একটি চমৎকার এবং জনপ্রিয় বই। এ বইয়ে আছে অনেক হাস্যরসাত্বক উক্তি ও ঘটনা। সেখান থেকে eআরকি পাঠকের জন্য চুম্বক অংশ তুলে আনলেন সঞ্জয় সরকার।
# ডাকাতরা প্রথমে ডাকাতি করে তারপর জেলে যায়; রাজনীতিবিদরা প্রথমে জেলে যান, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ডাকাতি করেন। (জনৈক ভারতীয় রসিক ব্যক্তি)
# আইন হলো মাকড়শার জালের মতো যা ছোট ছোট পতঙ্গদের আটকাতে পারে, কিন্তু বড় পোকাদের ঠেকাতে পারে না। (উইল ডুরান্ট)
# কিছু না করার জন্য সরকারকে দোষারোপ করা আমাদের উচিত হবে না। যখন সরকার কিছু করতে চায় তখনই সরকার বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। (উইল রজার্স)
# দুটি ক্ষেত্রে নতুন ধারণা অত্যন্ত বিপজ্জনক : অর্থনীতি ও যৌন জীবন। মোটামুটি সবই করে দেখা হয়েছে। যদি ধারণাটি নতুন হয় তবে তা বেআইনি অথবা বিপজ্জনক অথবা অস্বাস্থ্যকর। (জনৈক মার্কিন রাজনীতিবিদ)
# রাজাদের একটি প্রবণতা...ইতিহাস থেকে আমরা যদি একটিও শিক্ষা গ্রহণ করি তা হল রাজাদের সব সময়ে অর্থের টানাটানি ছিল। (স্যার জন হিকস, অর্থনীতিবিদ)
# যুক্তিবাদী লোক নিজেকে বিশ্বের সাথে খাপ খাইয়ে নেয় কিন্তু অযৌক্তিক লোক বিশ্বকে তার সাথে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। সুতরাং সকল প্রগতি অযৌক্তিক লোকের উপর নির্ভরশীল। (জর্জ বার্নাড শ)
# একজন গণিতজ্ঞ হচ্ছেন সে ধরনের ব্যক্তি যিনি কী সম্পর্কে বলছেন তা জানেন না ও তার পরোয়াও করেন না। (জি.এইচ.হার্ডি, গণিতজ্ঞ)
# মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উকিলদের সম্পর্কে ডাক্তারদের একটা প্রিয় ঠাট্টার নমুনা দিচ্ছি। একজন হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর হৃৎপিণ্ড সংযোজনের প্রয়োজন দেখা দেয়। রোগীকে জানানো হয় যে, হৃৎপিণ্ড সংযোজনের দুজন সম্ভাব্য দাতা রয়েছে। একজন সম্ভাব্য দাতা হলেন পঁচিশ বছরের খেলোয়াড়। আরেজকন হলেন প্রবীণ উকিল। রোগীকে বলা হল, এ দুজনের মধ্যে যে কোন একজনের হৃৎপিন্ড তিনি গ্রহণ করতে পারেন। ডাক্তাররা আশা করেছিলেন যে, রোগী পঁচিশ বছরের খেলোয়াড়ের হৃৎপিন্ড পছন্দ করবে। কিন্তু রোগী ষাট বছরের উকিলের হৃৎপিণ্ড সংযোজন করতে চায়। কারণ জিজ্ঞাসা করলে রোগী বলে, উকিলদের হৃদয় কখনও ব্যবহৃত হয় না, আর তাই ষাট বছরের উকিলের হৃদয় সম্পূর্ণ অব্যবহৃত ও আনকোরা হবে। বুড়ো উকিলের হৃদয়ই তার পছন্দ'। (আকবর আলী খান)
# যৌবনে যারা সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করে না তাদের হৃদয় নেই; বেশি বয়সে যারা রক্ষণশীল হয় না তাদের মগজ নেই। (ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ)
# এক নৃতত্ত্ববিদ দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের আগে বার্মার গ্রামাঞ্চলে গবেষণা করেন। তখন তিনি দেখতে পান যে মেয়েরা পুরুষদের পেছনে হাঁটে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর তিনি বার্মাতে গিয়ে দেখেন যে, গ্রামাঞ্চলে মেয়েরা পুরুষদের সামনে হাঁটছে। নৃতত্ত্ববিদ ভাবলেন যে, বার্মাতে মেয়েদের সামাজিক অবস্থানের বিরাট পরিবর্তন হয়েছে, তাই মহিলারা পুরুষদের পেছনে না হেঁটে সামনে হাঁটছে। কিছুদিন পর তিনি একজন পুরুষের কাছে এত বড় বিপ্লবের কারণ জানতে চাইলেন। পুরুষটি তাকে বলল যে, জাপানীরা পিছু হটার সময় অনেক মাইন পুঁতে গেছে; তাই পুরুষরা সামনে না গিয়ে মহিলাদের সামনে হাঁটতে বাধ্য করছে।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন