অ্যাকাউন্টেন্ট রঙ্গ

৪৩০ পঠিত ... ১৭:১৬, জুলাই ০৩, ২০২২

Acountant-rongo

'অফিসে বসে বাংলা খাতার পোস্টিং চেক করছিলাম।

ইংরিজী, মাড়োয়ারী ও অন্যান্য খাতার মত বাংলা খাতাও স্বকীয়তায় বিশিষ্ট।  

‘হরজাই’ খাতে চার টাকা পাঁচ আনা ডেবিট। ‘নাজাই’ খাতে সাতশ পাঁচ টাকা ডেবিট। গড়মিল খাতে তিন টাকা দু আনা ক্রেডিট।

হরজাই এর ইংরিজী প্রতিশব্দ মিসলেনিয়াস। নাজাই মানে ব্যাড ডেটস। গড়মিল অর্থাৎ ডিফারেন্স ইন ট্রায়াল ব্যালান্স। এরই নাম অ্যাকাউনট্যান্সী।'

‘খেলা যখন’ (বুদ্ধদেব গুহ)

আনন্দবাজারের শতবর্ষ সংকলনে বুদ্ধদেব বাবুর এই উপন্যাসটি ঠাঁই পেয়েছে। পেশাগত জীবনে বুদ্ধদেব গুহ নিজেও একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ছিলেন।

১৯৩৬ সালের ২৯ জুন কোলকাতায় জন্ম নেয়া প্রথিতযশা এই লেখক একসময় পশ্চিমবঙ্গের আয়কর বিভাগের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য হিসেবেও কাজ করেছেন।

জমিদারদের জমিজমা সংক্রান্ত হিসাব যারা রাখতেন তাদের পদবী ছিল মজুমদার। এলাকা ভেদে এদের খাস্তগীর, সরকার, বিশ্বাস, মল্লিক, রায়, চৌধুরী, দস্তিদার, কানুনগো- এগুলো ব্যবহার করতে দেখা যেতো।

হিসাবরক্ষকেরা ডেবিট আর ক্রেডিট এর ডানপক্ষ বামপক্ষ যে কীভাবে মেলান, তা মাথায় ঢুকানো সহজ কাজ নয়।

অ্যাকাউন্টেন্টদের নিয়ে একটা মজার গল্প আছে।

একবার এক লোক বেলুনে করে যেতে যেতে হারিয়ে গেলেন। সেই জুলভার্নের 'ফাইভ উইকস ইন আ বেলুন' এর মতো। এগুলোকে বলা হতো হট এয়ার বেলুন।

ভেতরে ভরা থাকে হাইড্রোজেন, হিলিয়াম বা অ্যামোনিয়া অথবা কয়লা গ্যাস। বাতাসের চেয়ে হালকা বলেই সেটি বাতাসে ভেসে বেড়াতে পারে।

তো লোকটা যখন বুঝতে পারলো যে সে হারিয়ে গেছে, তখন সে জমিনের দিকে কিছুটা নেমে এসে নিচে দাঁড়িয়ে থাকা এক লোককে জিজ্ঞেস করলো, 'এক্সকিউজ মি, আমি এই মুহূর্তে ঠিক কোথায় আছি বলতে পারেন?'

নিচের লোকটা সরেস জবাব দিলো, 'ঠিক এই মুহুর্তে আপনি একটা গরম বাতাস ভর্তি বেলুনে আছেন। মাটি থেকে প্রায় ২০ ফুট ওপরে।'

বেলুনে থাকা লোকটা তাকে বলল, 'আপনি নিশ্চয়ই একজন অ্যাকাউন্টেন্ট?'

নিচের লোক তো বিস্মিত। 'আরে, আপনি কীভাবে জানলেন?'

বেলুন যাত্রী, 'হুম। আপনি আমার অবস্থান সম্বন্ধে যা বললেন তা টেকনিকালি কারেক্ট হলেও আমার কোনও কাজে আসছে না। তা-ই ধারণা করে বললাম।'

এবার অ্যাকাউন্টেন্ট সাহেব তাকে বললেন, 'আর আপনি নিশ্চয়ই একজন ম্যানেজার?'

এবার বেলুন যাত্রী অবাক হওয়ার পালা। প্রশ্নবোধক চাহনি দিয়ে তাকিয়ে রইলেন!

ওয়েল, কীভাবে জানলাম? আপনি জানেন না আপনি কোথায় আছেন, বা কোথায় যাচ্ছেন। অথচ আপনি ইমিডিয়েট হেল্প চাইলেন আমার কাছে। যার কাছে সাহায্য চাইছেন, তাকেই টিটকারি মারছেন; কিন্তু এর মাঝে আপনার অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয় নাই। আর এখন আমাকে দোষ দিচ্ছেন আপনার কাজে আসতে পারছি না বলে। আপনি ম্যানেজার না তো কী?

৪৩০ পঠিত ... ১৭:১৬, জুলাই ০৩, ২০২২

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top