সাহিত্য
বাংলাদেশ থেকে সাহিত্য বিষয়টাতেই নোবেলের দাবিদার সবচেয়ে বেশি। এই যেমন প্রথিতযশা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের নাম ভক্তরা নিয়মিতই বলে থাকেন নোবেলের যোগ্য দাবিদার হিসেবে। তবে মিলনকে ছাপিয়েও তরুণ সাহিত্যিক রাবা খান বছরজুড়েই ছিলেন বাংলা (পড়ুন বাংরেজি) সাহিত্যের টেবিলে সবচেয়ে আলোচিত চরিত্র। বাংলা ও ইংরেজির এক অপূর্ব মেলবন্ধন তিনি ঘটিয়েছেন তার ‘বান্ধobi’ বইতে। সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকা এমন সাহিত্যকর্মের বদৌলতে সাহিত্যের নোবেল না পাওয়াটা রাবা খানের প্রতি অনুচিতই হবে।
পদার্থবিজ্ঞান
পদার্থবিজ্ঞানে দুটি আবিষ্কারের জন্য এবার যৌথভাবে অন্তত তিনজন নোবেল পেতে পারতেন।
বিশ্বে প্রথমবারের মতো হাইপার স্পেস ডাইভ পদ্ধতির সফল প্রয়োগ ঘটিয়ে মিরপুর-১০ থেকে ফার্মগেট যাওয়ার শর্টকাট পথ আবিষ্কারের জন্য তোলারাম কলেজের দুই বিজ্ঞানী যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেতে পারতেন । তারা হলেন অনন্ত তারা মিয়া ও গ্যালাক্সি মালিক। তাদের এ আবিষ্কারের কল্যাণে ছালছাবিলের একটি বাস এখন মেট্রোরেলের চিপা গলি এড়িয়ে মাত্র ১৭ মিনিটে মিরপুর-১০ থেকে ফার্মগেটে পৌঁছে যেতে পারছে। সমস্যা হলো, হাইপার স্পেস ডাইভের শর্টকাট সত্ত্বেও বাসের মালিকেরা ভাড়া কমানোর দাবি মানতে রাজি হচ্ছে না।
চিকিৎসাবিজ্ঞান
স্বামী-স্ত্রী অমিল ও অবাধ্য ছেলেমেয়েদের বাধ্য করার উপায় আবিষ্কারের জন্য দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া পাকাপুলনিবাসী মঈনুদ্দীন বাটপারি এবার চিকিৎসায় নোবেল পেতে পারতেন।
সুদীর্ঘকাল কামরূপ কামাখ্যায় প্রশিক্ষণ নেওয়া তান্ত্রিক কবিরাজ মনরা বেগমও ছিলেন চিকিৎসায় নোবেলের অন্যতম দাবিদার। নিঃসন্তান দম্পতির মুশকিল আসান, স্বামী-স্ত্রীর মনের মিলন, ফ্রেন্ডজোন থেকে প্রেমের সম্পর্ক, পাওনা টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন রকমের বান, ‘টুনা’ ও জাদুকেও পরাস্থ করতে পারেন। তবে এসবের বাইরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারটি হলো, মোবাইলে কথা বলেই তিনি এসব চিকিৎসা করতে পারেন।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন