আফগানিস্তান, বিশ্বক্রিকেটের সবচেয়ে শক্তিশালী দলগুলোর মধ্যে একটি। বাংলাদেশ মুখোমুখি হতে যাচ্ছিল তাদের! ভাবা যায়!
কথিত আছে যে, ডন ব্র্যাডম্যান প্রথমে খেলতে চেয়েছিলেন আফগানিস্তান দলেই। কিন্তু তখনো তারা ক্রিকেট কী জিনিস তা না জানায় শেষমেশ ডন অস্ট্রেলিয়া দলে জয়েন করেন।
শচীন টেন্ডুলকারের মুকুটে জুটেছে ক্রিকেটের প্রায় সবধরনের অর্জন। সেই শচীনেরও নাকি একটাই আফসোস, কখনোই আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে না পারা। কখনোই প্রকাশিত না হওয়া একান্ত এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, 'আমি যখন খেলতাম, সে সময় আফগানিস্তান থাকলে এত রান আমার কখনোই করা হতো না।'
ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং কিংবদন্তি ভিভ রিচার্ডস বলতে চেয়েছিলেন, (পরে আর বলেননি), 'ভাগ্যিস আমাকে রশিদ খানের বল খেলতে হয়নি।' শেন ওয়ার্ন এক অনলি মি স্ট্যাটাসে বলেছেন, 'ক্রিকেটে আজ আমি নেই, তাতে কী! রশিদ খান তো আছে!'
এবি ডি ভিলিয়ার্সের এত দ্রুত অবসর নেয়ার কারণও ঐ আফগানিস্তান। নিজের ক্লোজ ছোট ভাই ডু প্লেসিসকে তিনি একদিন বলেছেন, 'আফগানিস্তান ক্রিকেট খেলতে আসছে জেনেই এত দ্রুত অবসর নিয়ে নিলাম।'
মহাপরাক্রমশালী সেই আফগানিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছিল বাংলাদেশ! ভয়ে কাঁপুনি ধরে যাওয়াই তো স্বাভাবিক!
কিন্তু সকল ভয়কে জয় করে বাংলাদেশ ঘটিয়েছে ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অঘটন! তুমুল লড়াইয়ে হারিয়ে দিয়েছে ক্রিকেটবিশ্বের জায়ান্ট আফগানিস্তানকে। তবে আফগানিস্তান এত বড় দল, এতই বড় দল, ম্যাচ শেষ হওয়ার এত পরেও, এখনো আমরা ভয় পাচ্ছি।
ভয়ে থরথর করে কাঁপছি, টাইপ করতে সমস্যা হচ্ছে। এজন্য লেখাটা বড় করতে পারলাম না।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন