সাকিব আল হাসান, বাংলাদেশের ক্রিকেটের অবিসংবাদিত রাজপুত্তুর। ক্রিকেটের মাঠে বল-ব্যাট হাতে বিশ্ব মাতান তিনি, তাঁর হাসি-কান্নায় একাকার হয় কোটি কোটি বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীর হৃদয়।
চলুন চট করে দেখে নেয়া যাক ক্রিকেট মাঠে সাকিব আল হাসানের ছয়টি অবিস্মরণীয় মুহূর্ত।
১#
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছে ইংল্যান্ড। বাংলাদেশ তখন একটু একটু করে এগিয়ে চলেছে জয়ের বন্দরে। ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকসকে বোল্ড করেও বুনো উল্লাসে মেতে উঠলেন না সাকিব আল হাসান! শুধু উইকেটের সামনে দাঁড়িয়ে কপালে হাত ঠেকিয়ে একটু খানি ‘স্যালুট’। ব্যস, এতেই যেন হয়ে গেল অনেক না–বলা কথার জবাব।
২#
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের ১১৮তম ওভারের সময় উদ্ধত ভঙ্গীতে তেড়ে আসেন পাকিস্তানী ফাস্ট বোলার ওয়াহাব রিয়াজ। জবাবে ব্যাটিং করতে থাকা সাকিব আল হাসানও তর্জনী তুলে তাকে বার্তা দেন, বাঙালীর সাথে ঔদ্ধত্য দেখানোর ফল আগেও ভালো হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।
৩#
আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ ও রুবেল হোসেনকে চলে আসতে বলেছিলেন মাঠ ছেড়ে। উত্তেজনা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ-রুবেল ফিরে গিয়েছিলেন। ২ বলে দরকার ছিল ৬ রান। হয়তো সাকিবের এমন প্রতিবাদই তাতিয়ে দিয়েছিলো মাহমুদুল্লাহকে, শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্তে ছক্কা মেরে তিনি মিলিয়েছিলেন সমীকরণ।
৪#
লড়াইটা ব্যাট আর বলের, শরীরের ধাক্কাধাক্কির নয়- হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন ধোনি। রান নিতে গিয়ে আচমকা বোলার মুস্তাফিজকে মেরে বসেন এক ধাক্কা, যা ম্যাচ রেফারি পাইক্রফটের মতে কোনোভাবেই অনিচ্ছাকৃত নয়। সাময়িকভাবে মাঠের বাইরে গেলেও, ফিরে এসে ধোনি তথা ভারত থেকে একাই যেন কেড়ে নিলেন ম্যাচ। ধোনিকে আউটের পর সাকিব আল হাসানের তাই এই বুনো উল্লাস।
৫#
২০১২ সালের এশিয়া কাপ ফাইনাল। বাংলাদেশকে শেষ ওভারে করতে হতো ৯ রান। ২ বলে ৪। স্নায়ুর চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়া ম্যাচটা বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত হারল ২ রানে। এতো কাছে গিয়েও ছোঁয়া হলো না শিরোপা। সাকিব আল হাসানের ওই চোখের পানিতে কেঁদেছেন কোটি বাংলাদেশি।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন