গত বছরের শুরুতে টিন্ডারে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া জন ওয়ালিদ। কিন্তু এক বছর পরে হুট করেই গতকাল তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেন, ‘Can anyone please tell me how to permanently delete Tinder? Not Uninstall. How do I permanently delete it?’ হুট করেই জন ওয়ালিদের এমন সিদ্ধান্তের কারণ কী জানতে চাইতেই তিনি বলেন, ‘টিন্ডার হলো যুব সমাজের অবক্ষয়ের প্রধান কারণ। এই যে সিচুয়েশনশিপ, বেঞ্চিং, ব্রেডক্রাম্বিং– এইসব নতুন নতুন শব্দ তো টিন্ডারের মতো ডেটিং অ্যাপেরই অবদান। বাপ-দাদাদের সময় কী মানুষ এসব করত? নতুন প্রজন্মকে ভুলভাল জিনিস শিখিয়ে ভুল পথে নিয়ে যাওয়াই হলো এইসব অ্যাপের উদ্দেশ্য। তাই অন্ধকার যুগে পা বাড়ানোর আগেই নিজেকে থামাতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি পার্মানেন্টলি টিন্ডারটা এবার ডিলিট করে দেব।’
টিন্ডারের মতো অ্যাপ তাহলে তিনি প্রথমত ডাউনলোডই করলেন কেন জানতে চাওয়ায় জন ওয়ালিদ আমাদের জানান, ‘রিসার্চের জন্য কত কী-ই করতে হয়। ব্যবহার তো করেন অনেকেই, কিন্তু এর অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জানাবে কজন? তাই এক বছরের দীর্ঘ রিসার্চ শেষে আমি টিন্ডার বয়কট করতে যাচ্ছি এবং সকলকে টিন্ডার বয়কটে সামিল হওয়ারও আহবান জানাচ্ছি। নতুন প্রজন্মকে তো ধ্বংসের পথ থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব আমাদের হাতেই।’
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, জন ওয়ালিদ টিন্ডার অ্যাপে কারও সঙ্গে ম্যাচ হলেই নাকি তাকে শুধু কফি খেতে যাওয়ার দাওয়াত দিত। অতিষ্ঠ হয়ে প্রায় সকলেই তাকে আনম্যাচ করে দেন। এছাড়াও জানা যায়, সামনে নাকি জন ওয়ালিদ টিন্ডারের রুলবুক প্রিন্ট করে তা লাইভে এসে ছেড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কারণ, কে কীভাবে জীবনসঙ্গী খুঁজে পেতে চায় তা ইম্পর্ট্যান্ট না, ইম্পর্ট্যান্ট হলো যুব সমাজকে তাদের চাওয়া-পাওয়া বাদ দিতে বলে তাদেরকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা! আপনারাও জন ওয়ালিদের সঙ্গে থেকে টিন্ডার বয়কট করছেন তো?