মুফতি ইব্রাহীম, একাধারে বিজ্ঞানী, বক্তা, দার্শনিক, চিন্তাবিদ এবং অজানা আরও অনেক কিছু। দুঃখের বিষয় এই যে, অতিজ্ঞানী হবার অপরাধে সম্প্রতি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। আবার শোনা যাচ্ছে, পদার্থবিজ্ঞানে এ বছর নোবেলের দৌড়ে আছেন তিনিও।
এদিকে জানা গেছে, চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল ঘোষণার পর আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন এই বাংলাবিজ্ঞানী। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এ বছর যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন দুই মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস এবং আরডেম পাটাপুটিয়ান। নোবেল কমিটি এ ঘোষণা দেওয়ার পরই নড়েচড়ে ওঠেন মুফতী কাজী ইব্রাহীম। রিমান্ড চলাকালীন পুলিশ কর্মকর্তাকে বলেন, 'কি মিয়া, আসল খবর জানেন? খালি জিজ্ঞাসাবাদ করলে হবে? মাথায় কিছু থাকতে হবে তো...'
এমন কথায় পুলিশ কর্মকর্তা ঘাবড়ে গেলে মুফতী ইব্রাহীম আরও বলেন, 'দুইটা লোক যে চিকিৎসায় নোবেল পাইলো আজকে, এরা কিন্তু মার্কিনী না। এদের দাদার দাদার বড় দাদার দাদার বড় দাদা ছিলো আরবের। উটে চড়তো, গাছের শুকনা খেজুর আর রুটি খাইতো... ডেভিড জুলিয়াসের আসল নাম হলো দাউদ জালাল আর আরডেম পাটাপুটিয়ানের হইলো আরমান হুসাইন। বাপে শিলপাটার কাজ করতো দেখে পরে ছেলের নাম রাখছে পাটাপুটিয়ান... পশ্চিমা বিশ্ব চক্রান্ত এদের আরবি নাম ইংরেজি বানাইছে...'
এ পর্যায়ে তিনি 'আরব বংশোদ্ভূত' এই দুই বিজ্ঞানীকে অভিনন্দন জানিয়ে আরও বলেন, 'উনারা যেসব নিয়ে রিসার্চ করছেন, সেসব কথা আগেই বলা আছে। কোথায়? জানি, কিন্তু বলবো না।'
মুফতি ইব্রাহীমের জ্ঞানের এমন গভীরতায় উপস্থিত সবাই অভিভূত হয়ে যান। 'শেকোসপীয়ার'—এর আসল নাম ‘শেখ জুবায়ের’ এই তথ্যের পর আরও একবার তাক লাগালেন বাংলাদেশীদের। জানা গেছে, ডেভিড এবং আরডেম দুজনই ভিডিও কলে তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববাসীকে তাদের আসল নাম জানানোর জন্য। এ ব্যাপারে ডেভিড (দাউদ) eআরকিকে বলেন, 'ওকে কীভাবে ধন্যবাদ দেবো বুঝতে পারছি না। আমি নোবেল পাওয়ার চেয়েও এখন বেশি গর্বিত একজন আরব বংশোদ্ভূত হতে পেরে...'
আরেকটি গোপন সূত্রে জানা গেছে, মুফতি ইব্রাহীমের উপর চটেছেন ১৯০১ সাল থেকে বিভিন্ন বিষয়ে নোবেল বিজয়ীরা। যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও নোবেল বিজয়ী স্যার উইনস্টন চার্চিল কবর থেকে উঠে এসে বলেন, 'আমার আসল নামটা তো এখনও কেউ বাইর করলো না... ফাইজলামি নাকি... ২৪ ঘণ্টা টাইম দিলাম... আমাকে জানাও আরবের কোন বংশোদ্ভূত আমি...'