চলছে নোবেলের মাস। সারাবিশ্বের জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রিয় জাতির মাঝে বিরাজ করছে চাপা উত্তেজনা৷ কে জিতবে নোবেল? কে জিতবে না? কোন আবিষ্কার এবার আলোকিত করবে নোবেলের মঞ্চ৷ উত্তেজনা কাজ করছে বাংলাদেশীদের মাঝেও৷ বিশেষ করে মুফতি কাজী ইব্রাহীম ও আরিফ আজাদের ভক্ত অনুসারীদের কাছে বিষয়টি উত্তেজনার লেভেল পার করে উৎকণ্ঠার পর্যায়ে চলে গিয়েছে।
পদার্থবিদ্যায় দুজনের কারোর দখলই কম নয়। তাই অনেকে মনে করছেন, আলাদা আলাদা গবেষণার জন্য হলেও যৌথভাবে দুজনই পেতে পারে নোবেল। অনেকের ধারণা, মুফতি ইব্রাহীমের আচমকা আবিষ্কারগুলোই নোবেলের আসল দাবিদার৷ তবে আরিফ আজাদের হাজার বছরের পুরোনো ধারণা ভেঙ্গে গুড়োগুড়ো করে দেয়া আবিষ্কারগুলোও নোবেলের দৌঁড়ে এগিয়ে থাকবেন বলে জানান অনেকে।
আরিফ আজাদ ভক্তদের দাবি, নোবেলের জন্য একমাত্র দাবিদার আরিফ আজাদ। বিজ্ঞানের স্থাবির-অস্থাবর সব কিছুকে যেভাবে দিনের পর দিন চটেপাঘাত করছেন এই তরুণ বিজ্ঞানী; অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের সব নোবেলই তাকে দিয়ে দেয়া উচিত। এক আরিফ আজাদ ভক্ত হুংকার তুলে বলেন, 'জানি পশ্চিমা নাস্তিক ষড়যন্ত্রকারীরা কখনোই একজন মুসলমানকে এই পুরস্কার দিবে না৷ সেজন্যই উনি পান না। আশা করছি এবার পাবেন৷ নোবেল কমিটির ফোনের আশায় টেলিফোনের পাশে বসে আছি।'
অন্য এক ভক্ত বলেন, 'কিয়ের বিজ্ঞান! আরিফ আজাদের তো সাহিত্যেও সব নোবেল পাওয়া উচিত। বইমেলা, রকমারি সব কিছুরই বেস্টসেলার উনি। ঐ রবীন্দ্রনাথরা কখনো বইমেলায় বেস্ট সেলার হইতে পারছে!'
এদিকে মুফতি কাজী ইব্রাহীমের ভক্তরা খুব একটা দুশ্চিন্তা করছেন না বলেও জানান মুফতি সাহেবের এক কনফিডেন্ট ভক্ত৷ তিনি বলেন, 'বিজ্ঞানের পাশাপাশি ইতিহাসেও হুজুরের ভালো দখল আছে। এছাড়া স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে ইনসেপশন এন্ড ড্রিম সায়েন্সে উনি বেশ উন্নতি করেছেন৷ পদার্থবিদ্যায় না পেলেও ইতিহাস কিংবা ক্রিস্টোফার নোলান স্মৃতি পুরস্কার টাইপ কিছু পেয়ে যেতে পারে।'